সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি অধ্যাপক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করছেন প্রায় ২০ বছর। অথচ, তাঁর কথাবার্তা শুনলে সত্যি অবাক হতে হয়। একবিংশ শতকে এসে একজন প্রথম সারির অধ্যাপক বলছেন, যে মেয়ে ভার্জিন নয়, তাঁকে বিয়ে করা উচিত নয় ছেলেদের।
এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার মহিলাদের নিয়ে কদর্য মন্তব্য করেছেন কণক সরকার। সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে যাদবপুরের এই অধ্যাপক দাবি করেন, “আজকালকার ছেলেরা বোকাই রয়ে গেল। তারা জানেই না, ভার্জিন মেয়েদের বিয়ে করার কত সুবিধা। একজন ভার্জিন মেয়ে অনেকটা সিলড বোতল বা সিলড প্যাকেটের মতো। আপনি কি টাকা দিয়ে সিলভাঙা কোল্ড ড্রিংকের বোতল কিনবেন? নিশ্চয়ই খোলা বিস্কুটের প্যাকেট কিনবেন না। একটি মেয়ে সতীত্ব নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। যতদিন না তার সতীত্ব নষ্ট হয় ততদিন সে পবিত্র থাকে। সেই সঙ্গে অনেক গুণ থাকে তার। থাকে আলাদা সংস্কৃতি এবং যৌন স্বাস্থ্যের নিরিখেও কুমারী মেয়েরাই ভাল।” বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় নিজের সেই ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করেছেন কণক সরকার।
এই প্রথম নয়, মেয়েদের ভার্জিনিটি এবং যৌনতা নিয়ে নিয়মিত কুকথা বলে গিয়েছেন এই অধ্যাপক। এর আগে ৯ নভেম্বর করা একটি ফেসবুক পোস্টে মেয়েদের সতীত্ব নিয়ে বিস্তর জ্ঞানগম্মী শোনা গিয়েছে তাঁর কাছ থেকে। তাঁর দাবি, ভার্জিনিটি সততা এবং নৈতিকতার মতোই মূল্যবান। আজকালকার ছেলেমেয়েরা এর মূল্য বোঝে না। তারা ভাবে, ভার্জিনিটি নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না। আর সেকারণেই, মেয়েদের দুশ্চরিত্র ছেলেদের পাল্লায় পড়তে হয়। প্রায় নিয়মিতই কণক সরকার মেয়েদের ভার্জিনিটি নিয়ে পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা পরিষ্কার লিঙ্গ বৈষম্যমূলক। পরে আবার পোস্টগুলি ডিলিটও করে দেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, আধুনিক সমাজ যখন চিরাচরিত ট্যাবু ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে, তখন শিক্ষককূলের প্রতিনিধি হয়ে তিনি যে শিক্ষা দিচ্ছেন তা আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত। পরে আবার নিজের এই মন্তব্যকে নেহাতই ব্যক্তিগত অভিমত বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কনকবাবু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.