অর্ণব আইচ: ঢাকের তালে তালে চলুক বিসর্জনের নাচ। কিন্তু কালীপুজোর বিসর্জনে বরদাস্ত হবে না ডিস্কো জকি।
বিসর্জনের সমারোহ নিয়ে পুলিশের আপত্তি নেই। কিন্তু ডিজে দেখলেই সেই শোভাযাত্রা আটক করবে পুলিশ। আটক করা হবে ডিজে-র গাড়ি। পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বছর কয়েকটি গণেশ পুজো, এমনকী দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময়ও পুলিশ ডিজে থাকার খবর পেয়েছে। তাই কালীপুজোর বিসর্জনের সময় ডিজে নিয়ে এখন থেকেই সতর্ক হয়েছে পুলিশ। প্রত্যেক কালীপুজো উদ্যোক্তাকেও সতর্ক করে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন বিসর্জনের সময় ডিজে ভাড়া না করেন। এমনকী, ডিজে-র বদলে কোনও মালবাহী গাড়ির উপর বক্স বাজিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের করলে সেই গাড়িও পুলিশ আটক করতে পারে।
[দেশের দ্রুতগামী ট্রেন তেজসে খাদ্যে বিষক্রিয়া, অসুস্থ বহু যাত্রী]
এ ছাড়াও রাস্তা বন্ধ করে বাজি ফাটানো নিয়েও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। কালীপুজো ও দীপাবলিতে শহরের রাস্তায় বাজি ফাটানো হয়। কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় গত বছরও দেখা গিয়েছে, বাজি ফাটানোর জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া রয়েছে রাস্তা। কিছু রাস্তায় বেআইনি ‘শেল’ ফাটানোর চেষ্টা হয়। আবার শুধু আতসবাজি অথবা তুবড়ির মতো বাজি ফাটানোর জন্যও রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে দেখা গিয়েছে। বিসর্জনের সময় কখনও শহরে রাস্তা আটকে বাজি পোড়ানো হয়। কিন্তু তা কম সময়ের জন্য। তাই বিষয়টি নিয়ে সেভাবে পুলিশ আপত্তি করে না। কিন্তু কালীপুজোর সময় কোনও ক্লাব বা পুজো উদ্যোক্তা যদি বাজি পোড়ানোর কারণেই রাস্তা বন্ধ করে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক বছর আগেই বিসর্জনের সময় ডিজে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু পুজো উদ্যোক্তা ডিজে-র আয়োজন করে। সাধারণ কোনও মালবাহী গাড়ির উপর তোলা হয় ডিস্কো জকিদের। গাড়ি থেকে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে লেজার আলো। তার সঙ্গে শুরু হয় ডিজে মিউজিক। সেই মিউজিকের তালে রাস্তার উপর নাচতে থাকেন বিসর্জনের যাত্রীরা। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এমনও দেখা গিয়েছে, রাস্তার উপর একসঙ্গে নাচছেন বিভিন্ন বয়সের দু’শো মানুষ। রাস্তাই হয়ে উঠেছে ডান্স ফ্লোর। লালবাজারের কর্তাদের মতে, ডিজে নামা মানেই বিসর্জনের সময় রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়া। সৃষ্টি হয় যানজট। তার সঙ্গে রয়েছে শব্দদূষণ। আবার নাচার সময় গোলমাল ও মারপিটের সম্ভাবনাও থেকে যায়।
[অমিতাভর মৃত্যুর বদলা চাই, গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ফুঁসছে পুলিশ]
বিসর্জনের সময় শব্দবাজি নিয়েও এখন থেকে সতর্ক হয়েছে পুলিশ। কারণ গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, শোভাযাত্রায় থাকা অনেকেই সঙ্গে লুকিয়ে নিয়ে আসে শব্দবাজি। বড় শোভাযাত্রাগুলির সঙ্গে পুলিশ থাকে। কিন্তু কালীপুজোয় ছোট ছোট বহু শোভাযাত্রা বের হয় শহরে। প্রত্যেকটির উপর নজর রাখা পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয় না। অনেকে সেই সুযোগে দেদার শব্দবাজি ফাটায়। এছাড়াও প্রতিমার উচ্চতার বিষয়েও রয়েছে পুলিশের নজর। উদে্যাক্তাদের বলা হয়েছে, যেন ১৮ ফুটের বেশি প্রতিমার উচ্চতা না হয়। গণেশ পুজোর বিসর্জনের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। তাই কালীপুজোয় প্রতিমা নিয়ে কড়া হয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.