Advertisement
Advertisement
Durga Puja

করোনা আবহেই আগমনীর সুর, পুজোর থিম নিয়ে খোঁজখবর শুরু পুলিশের

কলকাতার বহু এলাকায় শুরু হয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ।

Kolkata Police starts to enquire about Durga Puja theme amid Pandemic
Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 4, 2020 4:00 pm
  • Updated:September 4, 2020 4:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোন পুজোর থিম কী, মণ্ডপ দেখতেই বা কী রকম হবে, করোনা পরিস্থিতিতে (Corona Virus) পুজোর দেড় মাস আগে থেকেই খোঁজখবর শুরু করল পুলিশ। প্রত্যেকটি থানা ও ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটিকে ফোন করে এই তথ্য নেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই বিষয়ে লালবাজারের এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, কোন পুজো কমিটি কী ধরনের মণ্ডপ তৈরি করছে, সেই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর সেক্রেটারি শাশ্বত বসু জানান, এটি পুলিশের একটি ইতিবাচক দিক। গত সপ্তাহে পুলিশ অফিসাররা পুজো কমিটির কর্তাদের ফোন করে পুজোর মণ্ডপ, থিম ও পুজো সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য নেন।

এদিকে, দিন দুয়েক আগে শহরের কলকাতার (Kolkata) কয়েকটি থানার পক্ষ থেকে পুজো উদ্যোক্তাদের বলা হয় কিছুদিনের জন্য মণ্ডপ তৈরি থেকে বিরত থাকতে। তাই ওই পুজো কমিটিগুলি কাজ বন্ধ করে দেয়। যদিও বুধবার দুপুরে থানার পক্ষ থেকে ফের ফোন করে পুজো উদ্যোক্তাদের কাজ শুরু করতে বলা হয়। এই বিষয়ে ফোরামের সেক্রেটারি জানান, বেহালা, ঠাকুরপুকুর, হরিদেবপুর, চেতলা, মুচিপাড়া, শ্যামপুকুর-সহ কয়েকটি থানার পক্ষ থেকে মণ্ডপ তৈরির কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বলা হয়। যদিও এদিন ওই থানার অফিসাররাই ফের কাজ চালাতে বলেছেন। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে এই ব্যাপারে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর মণ্ডপগুলি কেমন হবে অথবা দর্শনার্থীরা মণ্ডপে কীভাবে ঢুকবেন অথবা বের হবেন, সেই সম্পর্কে বিশেষ কোনও নির্দেশিকা পরবর্তী ক্ষেত্রে জারি হলে এখন থেকে যাঁরা মণ্ডপ তৈরি করছেন তাঁদের সমস্যা হতে পারে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই সাময়িকভাবে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। যদিও সেই সমস্যাটি মিটে গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন ; নিউ নর্মালে স্মার্টকার্ড ছাড়াও ওঠা যাবে মেট্রোয়! জেনে নিন কীভাবে]

পুলিশের এক আধিকারিক জানান, অন্যান্য বছর বেশিরভাগ কমিটি পুজোর মাস দেড়েক আগেই বাঁশ ফেলে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু করে। কিন্তু এই বছর কয়েকটি মাত্র পুজো কমিটি শুরু করেছে এই কাজ। পুলিশ পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছে, তাঁদের থিম কী, তাঁদের মণ্ডপ ও প্রতিমা কত বড় হচ্ছে, মণ্ডপ কেমন দেখতে। সেইমতো কোন পুজোয় দর্শনার্থীদের ভিড় কতটা হতে পারে, পুলিশ তাও জানার চেষ্টা করছে।

বেহালা নূতন দলের কর্মকর্তা সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মণ্ডপ তৈরির ক্ষেত্রে এখন আর কোনও সমস্যা নেই। তাঁরা মণ্ডপের প্রত্যেকটি গেটে স্যানিটাইজার টানেল রাখছেন। যথেষ্ট দূরত্ব মেনে যাতে দর্শনার্থীরা ঠাকুর দেখেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঠাকুরপুকুর এসবি পার্ক সার্বজনীনের কর্মকর্তা সঞ্জয় মজুমদার জানান, তাঁরা কর্মহীন পরিযায়ী শ্রমিকদের দিয়ে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু করে ছিলেন। পুলিশের অনুরোধে তা বন্ধ হলেও এবার ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে ফের আলোচনা করার পর কাজ শুরু হবে। বাইরে থেকেও দর্শনার্থীরা যাতে ঠাকুর দেখার সুযোগ পান, সেভাবেই মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। যাঁরা ভিতরে আসবেন, তাঁদের স্যানিটাইজিং চ্যানেলের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়াও প্রতিমাও মণ্ডপসজ্জা দেখানোর জন্য পুজোর দিনগুলিতে বাইরে জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, পুজো কমিটিগুলি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। কিছুদিন বাদেই পুলিশের সঙ্গে পুজো উদ্যোক্তাদের সমন্বয় বৈঠক হবে। সেখানে কিছু নিয়মাবলি ও নির্দেশিকা দেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন : অমানবিক! করোনা আক্রান্ত প্রতিবেশীর ফ্ল্যাটে মাঝরাতে তালা লাগালেন আবাসনেরই বাসিন্দা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement