ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ: সরকারি জমি জবরদখল রুখতে তৎপর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য জুড়ে সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তৎপর কলকাতা পুলিশ। হাতিবাগান, মানিকতলা, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, বড়বাজারে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। এবং পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও সার্ভে শুরু হয়েছে। সমীক্ষার দায়িত্ব স্থানীয় থানার। পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে বলেই খবর।
সরকারি জমি দখল করে হকার বসেছে। বৃহস্পতিবার ফের একবার তা নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠক থেকেই হকারদের জন্য বিকল্প ভাবনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার নির্দেশ, ফুটপাথের একদিকে হকার বসতে পারে। কোন দিকে বা কোথায় হকার বসবে, তা সার্ভে করে ঠিক করে নিতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সার্ভে করতে হবে। এই জন্য একটা কমিটিও গড়ে দিয়েছেন। যেখানে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ এবং মলয় ঘটক। পুলিশ থেকে কমিশনারদেরও এই কমিটিতে রাখা হবে। তাঁদের সার্ভের পাশাপাশি সমান্তরাল সার্ভে করবে হকার কমিটিগুলিও। তার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সার্ভে হবে মূলত হাতিবাগান, কলকাতা কর্পোরেশনের সামনে, গ্র্যান্ড হোটেল চত্বর, নিউ মার্কেট-সহ মোট পাঁচটি এলাকায়। ওই নির্দেশিকার পরই সার্ভে শুরু করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
হকার উচ্ছেদ চান না মুখ্যমন্ত্রী। হকারদের নিয়ে এদিন বিকল্প ভাবনার কথাই জানিয়েছেন তিনি। মমতা জানান, হকার জোন চিহ্নিত হওয়ার পর একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে। যেখানে হকাররা মালপত্র রাখবেন। তাঁদের ইনসিওরেন্স করে দেবে সরকার। সেখানে দু-চারটে কাঠের ভ্যান রাখা হবে। যাতে স্টলে মালপত্র আনা নেওয়া করবেন হকাররা। তবে ফুটপাথে মালপত্র রাখা যাবে না। এমনকী, কয়েকটি এলাকায় বহুতল বানিয়ে সেখানে হকারদের জন্য সুব্যবস্থা করার কথাও জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.