Advertisement
Advertisement

মেটিয়াবুরুজের ‘ডেরায়’ আটক কিশোরী, উদ্ধারে ভয় পুলিশের

আদালতের দ্বারস্থ অসহায় বাবা।

Kolkata police 'refuse' to recuse abducted girl, father moves HC
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 20, 2018 3:05 pm
  • Updated:February 20, 2018 3:05 pm  

শুভঙ্কর বসু: ‘সড়ক’ ছবিতে মহারানির ডেরার কথা মনে আছে? যেখানে নাকি ঢুকতেও পা কাঁপত পুলিশেরও! কলকাতা শহরেও নাকি আছে এমনই এক ডেরা! আর যেখানে ঢুকতে নাকি সত্যিই পা কাঁপে পুলিশের। মহারানির নয়। এই ডেরার বাদশা ‘মিন্টু’। এক নাবালিকাকে জোর করে তুলে এনে সে না কি আটকে রেখেছে নিজের ডেরায়। আর পুলিশ নাকি সেখানে যেতেই ভয় পাচ্ছে।

[ক্লাবে বেজায় জোরে চলছে টিভি, প্রতিবাদে বেধড়ক মারধর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে]

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টে এমন অভিযোগই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার সাফাই কর্মী বিনোদ দাস। তাঁর অভিযোগ, তাঁর নাবালিকা মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মেটিয়াবুরুজে একটি বাড়িতে আটক করে রেখেছে মিন্টু নামে ওই যুবক। আর সেখানে হানা দিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করতে ভয় পাচ্ছে পুলিশ! এহেন অভিযোগ শোনার পর রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়ে আদালত। অবিলম্বে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারকে (অপরাধ) ওই এলাকায় হানা দিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।

কিন্তু কেন মিন্টুর ডেরায় হানা দিতে ভয় পাচ্ছে পুলিশ? আসল ঘটনাটাই বা কী?

বিনোদ দাসের স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে তাঁর নাবালিকা মেয়ে গার্ডেনরিচের মেহর মঞ্জিল এলাকায় মাসির বাড়ি থাকে। গত বছর তার মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। কিন্তু জুন মাসের ৯ তারিখ হঠাৎ সে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজ করেও সন্ধান মেলেনি। এরপর পরদিন সকালে বিনোদ জানতে পারেন মেটিয়াবুরুজ এলাকার এক যুবক মিন্টু ও তারা বাবা কোরবান আলি জোর করে ধরে নিয়ে গিয়েছে তার মেয়েকে। একথা জানার পরই এলাকাবাসীদের নিয়ে গার্ডেনরিচ থানায় যান বিনোদ। মিন্টু ও তার বাবা কোরবান আলির বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযোগ, ঘটনার পর আট মাস কেটে গেলেও মেয়েটিকে উদ্ধার করতে কোনও পদক্ষেপই নিচ্ছে না পুলিশ। এরপর বাধ্য হয়ে হাই কোর্টে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা করেন বিনোদ।

বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে মামলাটি উঠলে তাঁর আইনজীবী উদয় ঝা অভিযোগ করেন, পুলিশকে নির্দিষ্ট করে ঠিকানা ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে মেয়েটিকে সেখানে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বলছে ওই এলাকায় রেড করা যাবে না। যদিও সরকারি আইনজীবী বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে বিচারপতি আশ্বস্ত হতে পারেননি। যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে দল গঠন করে মেটিয়াবুরুজে মিন্টুর ডেরায় হানা দিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করার নির্দেশ দেন বিচারপতি বসাক। ২৮ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি।

[হুইলচেয়ারে নাচ, মঞ্চ মাতিয়ে স্বনির্ভর চণ্ডীপুরের প্রণবকুমার]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement