সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতবছরের মতোই এবছরও করোনা আবহেই কেটেছে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2021)। ফলে ভিড় সামলানোই চ্যালেঞ্জ ছিল পুলিশ আধিকারিকদের কাছে। সেই সঙ্গে যাতে অন্য যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়, সেদিকেও নজর ছিল। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেই দায়িত্ব পালন করলেন পুলিশ আধিকারিকরা। বলাই বাহুল্য, এবারের পুজোয় ‘নায়ক’ পুলিশ।
করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতিতে পুজোয় যাতে কোনওরকম সমস্যা তৈরি না হয়, সেই কারণে প্রথম থেকেই প্রস্তুত ছিল প্রশাসন। চতুর্থী থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল পাহারা। কলকাতার ২ হাজার ৭০১টি মণ্ডপে মোতায়েন করা হয়েছিল ২ হাজার ৫৪৫ জন অফিসার ও ১২ হাজার ৯৪৭ জন পুলিশকর্মী। পুজোয় কলকাতায় যানজট এড়াতে যাতে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং না হয়, সেদিকে কড়া নজর ছিল ট্রাফিক পুলিশ ও প্রত্যেকটি থানার।
এবছর পুজোয় ৩১টি নতুন সিটি প্যাট্রল টহল দেয়, যাতে ছিলেন সশস্ত্র পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশকর্মীরা। লালবাজারের নির্দেশ অনুযায়ী পুজো মণ্ডপগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ছিল। বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে ভোর, রাত বারোটা থেকে সকাল আটটা ও সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটে, এই তিন শিফটে মণ্ডপ ও রাস্তায় ছিল পুলিশ। ঠাকুর দেখতে গিয়ে বহু তরুণ-তরুণী বেশি রাতে সরকারি বাসের ভাড়া দিতে চান না। তাই বেশি রাতে বাস চালাতে ভয় পান কিছু বাস চালক। তাঁদের যেন অসুবিধা না হয়, তার জন্য রাত দশটার পর ওয়্যারলেস প্যাট্রল গাড়ির নজর ছিল বাসের উপর।
সব মিলিয়ে পুজোর শহরে যাতে কোনওরকম সমস্যা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর ছিল পুলিশের। যার ফলে কোভিড পরিস্থিতিতেও অত্যন্ত সুষ্ঠভাবে দেবীদর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন আমজনতা। যদিও তা সত্ত্বেও দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। ভিড়ের চাপ সামলাতে কোথাও কোথাও হিমশিম খেতে হয়েছে উর্দিধারীদের। তবে সবমিলিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের জন্যই দেবীদর্শন অনেকটা সহজ হয়েছে বলেই জানিয়েছেন শহরবাসী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.