অর্ণব আইচ: লকডাউনে অনলাইন ডেলিভারি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহের জন্য ই-পাস চালু করল কলকাতা পুলিশ। এই ই-পাস সঙ্গে রেখে বা তার প্রিন্ট আউট গাড়িতে লাগিয়ে জিনিসপত্র সরবরাহ করার পরামর্শ দিয়েছে লালবাজার। শনিবার লালবাজারে এই ই-পাসের সূচনা করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। এদিকে, বাজারে ভিড় এড়াতে হোয়াটসঅ্যাপে অর্ডার দেওয়ার ব্যবস্থা করল পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে বাড়ির ভিতরেই থাকেন, তার জন্য দক্ষিণ কলকাতার নিউ আলিপুর থানার পুলিশ এই ব্যবস্থা চালু করেছে। শহরের অন্যান্য থানাগুলিও ধীরে ধীরে চালু করছে এই ব্যবস্থা।
পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করবেন, তাঁদের যাতে জিনিসপত্র নিয়ে গাড়িতে যাতায়াতের সমস্যা না হয়, তার জন্যই এই ই-পাস চালু করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ই-পাসের জন্য অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে করোনাপাস ডট কলকাতাপুলিশ ডট ওআরজি—তে লগ অন করতে হবে। এর পর ভরতে হবে আবেদন। আবেদনে জমা দিতে হবে সরবরাহকারী ও তাঁর কর্মচারীর নাম। দিতে হবে ঠিকানা, মোবাইল, ই মেল, কারণ, গাড়ির মডেল, গাড়ির নম্বর, কোন অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে। আবেদনে পরিচয়পত্র ও অন্যান্য নথিও ছবি তুলে দিতে হবে। এর পর আবেদনকারীর মেল অথবা ই-মেলে একটি কিউআর কোড পাঠানো হবে। ডাউনলোড করে নিতে হবে সেই ই-পাস। তার প্রিন্ট আউট বের করে গাড়িতে লাগিয়ে নেওয়া যাবে। পুলিশ পিকেট বা চেকিং পয়েন্টে গাড়ি ধরলে এই পাস দেখাতে হবে। বিশেষ রুট ও সময়ের জন্য এই পাস ব্যবহার করা যাবে। ই পাসের জন্য কোনও অনুসন্ধান বা প্রশ্নের জন্য ৯৪৩২৬১০৪৪৬ বা ৯৮৭৪৯০৩৪৬৫ নম্বরে ফোন করতে পারবেন আবেদনকারীরা।
এদিকে, নিউ আলিপুর থানার ওসি অমিতশংকর মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এলাকাবাসীর কাছে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে যে, বাজারের ভিড় এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকেই যোগাযোগ করা হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বিক্রেতাদের সঙ্গে। কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছে পুলিশ। ওই নম্বরে মেসেজ পাঠিয়ে কে কতটা কী ধরনের জিনিস নেবেন, তা জানাতে বলা হচ্ছে। পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কয়েক দিনের জন্য জিনিস একটু বেশি করে সংগ্রহ করতে। সেই ক্ষেত্রে হাজার টাকার বেশি জিনিস একসঙ্গে কিনতে হবে। ঠিকানা জানিয়ে দেওয়া হলে সেই ঠিকানায় পৌঁছে যাবে জিনিসগুলি। নেওয়ার সময় দাম ও ভ্যান বা রিকসার ভাড়া দিয়ে দিতে হবে। বিক্রেতাদের তালিকাও ক্রেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই নিউ আলিপুর এলাকার বহু বাসিন্দা এই পরিষেবা গ্রহণ করতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে প্রবীণদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর। শহরের বিভিন্ন থানা এলাকায় এই ব্যবস্থা চালু হলে তা প্রবীণ ও অসুস্থদের পক্ষে বেশি সুবিধাজনক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.