অর্ণব আইচ: এবার গোয়েন্দা পুলিশের নজরে আরও এক আয়কর কর্তা। গোবিন্দ আগরওয়ালের কাছ থেকে তথ্যসূত্র পেয়ে আরও এক আয়কর কর্তাকে নোটিস পাঠাল কলকাতা পুলিশ। তাঁকে লালবাজারে দেখা করতে বলা হয়েছে।
তিন বছর আগে মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার একটি মামলায় উঠে এসেছিল এক আয়কর কর্তার নাম, যিনি তখন কলকাতায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ ওঠে। তাঁর টাকা ভুয়া সংস্থায় লগ্নি করার অভিযোগে এক ব্যবসায়ী গোবিন্দ আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার তাঁকে জেল হেফাজত থেকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবীদের পক্ষে জানানো হয়, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা। ধৃতর কাছ থেকে তথ্য উদ্ধার হয়েছে। মামলায় তাঁর নামও আছে। তাঁকে জেরা করা জরুরি। গোবিন্দ আগরওয়ালের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী জানান, অভিযুক্তকে ৬ বার লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়। গত আগস্ট মাসে তাঁকে প্রশ্নমালা দেওয়া হয়। তিনি সেই অনুযায়ী উত্তর দেন। তাঁকে আর নতুন করে জেরা করার মতো কিছু নেই। এ ছাড়াও ওই ব্যবসায়ী অত্যন্ত অসুস্থ। কিডনি ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। দুই পক্ষের আবেদন শুনে গোবিন্দ আগরওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
এদিকে, পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, তদন্তের খাতিরে গোবিন্দ আগরওয়ালের অফিসে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে। তাঁর কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক ঘেঁটে পুলিশ বেশ কিছু ফাইল পায়। তার মধ্যেই ওই দ্বিতীয় আয়কর কর্তার নাম পাওয়া যায়। পুলিশের অভিযোগ, ওই দ্বিতীয় আয়কর কর্তাও তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি নেই, এমন কিছু পরিমাণ টাকা গোবিন্দ আগরওয়ালের সাহায্য নিয়ে তাঁর সংস্থায় লগ্নি করেছেন। ওই আয়কর কর্তার সঙ্গেও অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতেই তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওই আয়কর কর্তা লালবাজারে এলে তাঁকেও প্রশ্নমালা দেওয়া হতে পারে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.