Advertisement
Advertisement
Police

করোনা সন্দেহে মৃতের দেহ নিয়ে চূড়ান্ত নাটক, পিপিই পরে মাঠে নামল পুলিশ

আমহার্স্ট স্ট্রিটের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে ফুলবাগান পুলিশ।

Kolkata police helps health workers to move deadbody to Post mortem

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 2, 2020 1:47 pm
  • Updated:July 2, 2020 1:59 pm  

অর্ণব আইচ: আমহার্স্ট স্ট্রিটের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে পুলিশ। তাই এবার নিজেরাই পিপিই (PPE) পরে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীদের সাহায্যে করোনা সন্দেহভাজনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠালেন। বুধবার রাতে ঘটনা ঘটেছে ফুলবাগান (Phoolbagan) থানা এলাকার সুরেন সরকার রোডে। করনোয় মৃত্যু হয়েছে এই সন্দেহে এক ব্যক্তির দেহ নিয়ে চূড়ান্ত টানাপোড়েন হয়। শেষে পুলিশ মাঠে নেমে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

এই এলাকার তিনতলা একটি বাড়িতে তিনটি পরিবার থাকেন। তিনতলায় বসবাসকারী পরিবারের কর্তা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবারের বাকিরা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ওই বাড়ির দুতলায় একাই থাকতেন করোনা আক্রান্তের দাদা ৪৬ বছরের অমিত ভট্টাচার্য। তিনি একাধিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। ওজন ছিল প্রায় ১৪০ কেজি। বুধবার রাতে একতলা থেকে জামাইবাবু খাবার দিতে গিয়ে দেখেন, অমিতবাবু শুয়ে আছেন। তাঁর জামাইবাবুকে খাবার রেখে যেতে বলেন। জানান, পরে খেয়ে নেবেন। এরপর বেশকিছু ক্ষয় সময় কেটে গেলেও তাঁর আর সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। জামাইবাবু ফের খোঁজ নিতে এসে দেখেন অমিতবাবুর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ফুলবাগান থানায় ফোন করে খবর দেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন : সম্পর্কের ভাঙনের জেরে অবসাদ, কলকাতার শ্যামপুকুরে আত্মঘাতী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র]

পরিবারের অভিযোগ, থানা থেকে জানানো হয় ওই বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। অমিতবাবুর মৃত্যুও যে করোনায় হয়নি, তা নিশ্চিত নয়। ফলে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে যেতে পারবে না। ফুলবাগান থাকা থেকেই স্বাস্থ্যদপ্তরে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরাও অত রাতে আসবেন না বলে জানিয়ে দেন। এরপর খবর যায় লালাবাজারে। তাঁরা ফের স্বাস্থ্যদপ্তরে ফোন করেন। এরপর দুজন স্বাস্থ্যকর্মী আসেন। কিন্তু দুজনে মিলে ১৪০ কেজি দেহ নামাবেন কী করে! পরিবারের সদস্যরাও সাহায্য করতে পারছেন না। ফলে ফের টালবাহানা শুরু হয়। একটা সময় দেহ বাড়িতে রেখে দেওয়া হবে বলেও ঠিক হয়। কিন্তু নড়েচড়ে বসে ফুলবাগান থানার পুলিশ। আমহার্স্ট স্ট্রিটের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তাঁরা। তাই তড়িঘড়ি পিপিই পরে হাজির হন ছয় পুলিশ আধিকারিক। শেষঅবধি তাঁরাই অমিতবাবু দেহ ময়না তদন্তে নিয়ে যান। তবে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে কোনও প্রমাণ মেলেনি।

[আরও পড়ুন : কলকাতায় করোনার বলি সেনা আধিকারিক, ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement