অর্ণব আইচ: শহরে এত আত্মহত্যা কেন, তার উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিমও তৈরি হয়েছে।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, দিনে দিনে শহরে বেড়ে চলেছে আত্মহত্যার ঘটনা। দেখা গিয়েছে, গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলে পড়ার প্রবণতা বেড়েছে। আবার গায়ে আগুন দিয়েও আত্মহত্যা করেছেন অনেকে। গায়ে যাঁরা আগুন দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। পুরুষদের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে। অল্পবয়সীদের মধ্যে অনেকেই জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সম্প্রতি এক নাবালক ফুটবলারও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আবার এক ছাত্রী জলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সম্প্রতি পারিবারিক চাপে পড়ে একটি অভিজাত বহুতলে আত্মহত্যা করেন এক মহিলা। পুলিশের প্রশ্ন, কী ধরনের চাপ থেকে নাবালক-নাবালিকা এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন? আবার অনেক যুবক বা যুবতী প্রেম সংক্রান্ত সমস্যায় পড়ে, আবার কেউ হতাশায় ভুগে আত্মহত্যা করেছেন। এবার কলকাতা পুলিশ চেষ্টা করছে আত্মহত্যা রোধের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার। তার আগে গোয়েন্দা পুলিশ খতিয়ে দেখছে, শহরের কোন অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি, তাঁদের আত্মহত্যার কারণ কী থাকতে পারে, কীভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। এই তথ্যগুলি পাওয়ার পর পুলিশ আত্মহত্যা রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শহরে তিনটি আত্মহত্যা হয়েছে। সরশুনার তালপাড়া রোডের বাসিন্দা মুনমুন মিত্র (৪০) বাথরুম বন্ধ করে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন। পুলিশ তাঁর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে। পর্ণশ্রীর এ কে পাল রোডে অসিত ঘড়াই (৩৭) নামে এক যুবকের দেহ দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়। একবালপুরের এম এম আলি রোডে সিলিং ফ্যান থেকে দোপাট্টা দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন আফতাব হোসেন (২১) নামে এক যুবক। ওই দুই যুবকের কাছ থেকেই সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তার সূত্র ধরেই তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.