অর্ণব আইচ: শহরে ব্যাংক জালিয়াতির তদন্তে নয়া মোড়। স্কিমিং পদ্ধতিতে এটিএম থেকেই গ্রাহকের টাকা তুলে নিয়েছে অভিযুক্তরা। এখনও পর্যন্ত তদন্তে নেমে এই তথ্যই পুলিশের হাতে এসেছে। চক্রের হোতাদের চিহ্নিত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখা। ইতিমধ্যেই ব্যাংক জালিয়াতির তদন্তে নেমে সিট গঠন করল লালবাজার। ডিসি সাইবার ক্রাইম সন্তোষ পাণ্ডের নেতৃত্বে গঠিত সিটে থাকছেন পুলিশকর্তারা। তাঁরাই তদন্ত করবেন।
জানা গিয়েছে, এটিএম কার্ড ক্লোন করেই যাবতীয় তথ্য গ্রাহকের হাতে এসেছে। সাধারণত স্কিমিং পদ্ধতিতেই হয়েছে জালিয়াতি। এটিএমের কিবোর্ডের উপরেই আঠা লাগিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এমন আঠা যা সাধারণত চোখে পড়ে না। এরপর যেসব গ্রাহক সেই এটিএমটি ব্যবহার করবেন, তাঁদের কার্ডের পিন নম্বর আঠার মাধ্যমে চলে যাবে চক্রের চাঁইদের কাছে। এমনভাবে কার্ড সোয়াইপের জায়গাতেও থাকছে কিছু কারিকুরি। যার জেরেই এডিএম কার্ড বেহাত না হয়েও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়েছে। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খোয়া যাওয়ার ৭৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে। তদন্ত বেশ খানিকটা এগিয়েছে। মূলত গড়িয়াহাটের কানাড়া ব্যাংকের একটি এটিএম ও মল্লিক বাজারের পিএনবি-র এটিএম থেকেই হয়েছে জালিয়াতি। তদন্তকারী আধিকারিকরা দুটি ব্যাংকের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গেই কথা বলেছেন। রক্ষিবিহীন এটিএমে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেও বলেন। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা অ্যাকাউন্টে ফেরানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। গোটা ঘটনার পিছনে একটি চক্র কাজ করছে।
নিরাপত্তারক্ষী বিহীন এটিএম কাউন্টারগুলিই চিহ্নিত করছে জালিয়াতরা। তারপর সময় সুযোগ বুঝে টাকা হাতানোর কাজ সারছে। এই ঘটনার পর গ্রাহকদেরও সাবধান হতে হবে। রক্ষিবিহীন এটিএম কাউন্টারে ঢুকলে সতর্ক থাকুন। ভাল করে দেখে নিন, পিন নম্বর দেওয়ার কিবোর্ডে কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কিনা। কিম্বা কার্ড সোয়াইপের জায়গায় কোনও গোলমাল চোখে পড়ছে কিনা। কোনওরকম অস্বাভাবিকতা দেখলেই সঙ্গেসঙ্গে থানায় জানান।
কোনওরকম লেনদেন ছাড়াই কানাড়া ব্যাংকের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়েছে টাকা। মোবাইলে এসএমএস দেখেই গ্রাহকদের চোখ কপালে উঠেছে। প্রায় সকলেই ছুটেছেন ব্যাংকে অভিযোগ জানাতে। মঙ্গলবারই শহরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.