ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঞ্জা সুতোর কারণে একাধিকবার মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়েছে। সেই ঘটনার পরই শক্তহাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল লালবাজার। সেই মতো স্থির করা হয়েছে, প্রতিদিন মা উড়ালপুলে নজরদারি চালাবেন পুলিশ কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, মা উড়ালপুলে (Maa Flyover) নজরদারি চালানোর জন্য পাঁচ পুলিশ কর্মীর একটি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর তিনটে থেকে সন্ধে পর্যন্ত উড়ালপুলেই থাকবেন তাঁরা। পায়ে হেঁটে মূলত পার্ক সার্কাস সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চালাবেন। কোনও ঘুড়ি যদি তাঁরা কাটতে দেখেন, সেটি যাতে কোনওভাবেই উড়ালপুলে এসে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন ওই পুলিশ কর্মীরা। তবে শুধু দল গঠনই নয়, উড়ালপুলে পুলিশের দুটি কিয়স্কও তৈরি করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, এই কিয়স্কের মাধ্যমে উড়ালপুরের যান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ঘুড়ির উপরও নজর রাখা হবে। নিত্যদিন যাদের মা উড়ালপুল ব্যবহার করতেই হয় লালবাজারের সিদ্ধান্তে খুশি তাঁরা। এতে দুর্ঘটনা কমবে বলেই আশাবাদী প্রত্যেকে।
প্রসঙ্গত, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাঞ্জা সুতোর কারণে রীতিমতো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে মা উড়ালপুল। চলতি বছরের মে মাসে সেখানেই ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত্যু হয় একজনের। খিদিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন আফতাব খান নামে বছর ৪০-এর ওই ব্যক্তি। ঘটনার দিন বাইকে মা উড়ালপুর ধরে কোনও বিশেষ কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। লকডাউনে উড়ালপুল ফাঁকা থাকায় একটু বেশিই ছিল তাঁর বাইকের গতি। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিনা মাঞ্জা সুতোয় ভয়ংকরভাবে কেটে যায় গলা। শুরু হয় রক্তপাত। সেই অবস্থাতেই প্রবল মানসিক জোর নিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিজের এলাকায় পৌঁছন তিনি। এলাকায় প্রবেশের সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.