অর্ণব আইচ: এবার ট্যাব কেলেঙ্কারির (Tab Scam) তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করল কলকাতা পুলিশ। ১০ সদস্য থাকবেন এই দলে। খুঁজে দেখবে কীভাবে ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে গেল, এর নেপথ্যে কোনও চক্র কাজ করছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হবে। ইতিমধ্যে ট্যাব কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ১০টি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত যাদবপুর, কসবা, সরশুনা, বেনিয়াপুকুর, মানিকতলা ও ওয়াটগঞ্জ – এই ছয়টি থানায় ট্যাব কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, মোট ৬২ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা ঢোকেনি। অন্যদিকে, সরশুনা থানায় দায়ের হওয়া ট্যাবের মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। ধৃতদের নাম সরিফুল ইসলাম ও কৃষ্ণপদ বর্মন। চোপরায় তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধৃতদর জেরা করে জানতে পেরেছেন, তাদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা ঢুকেছিল। কোনও ব্যক্তি এই কাজের জন্য তাদের মাথাপিছু ৩০০ টাকা করে কমিশন দিয়েছিল। ধৃতরা একজনেরই নাম করে জানিয়েছে, সেই ব্যক্তিও ওই এলাকারই বাসিন্দা। কে সেই ব্যক্তি, তার সন্ধান চলছে।
লালবাজারের অনুমান, সরকারি কোনও কর্মী এই চক্রের মাথাকে তথ্য দিচ্ছে। এটি স্পষ্ট করতে ফরেনসিক অডিট করা হবে এবং সবকটি দপ্তরের কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস খতিয়ে দেখা হবে। কলকাতায় দায়ের হওয়া অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোপড়া, ইসলামপুর ও তার আশপাশের এলাকার বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকাগুলো ঢুকেছে। বছরখানেক আগে আধার কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা এইপিএস জালিয়াতি করে টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটছিল। সেই চক্রটি আবার সক্রিয় হয়ে এভাবে জালিয়াতি করে থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.