ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: কালীপুজোয় রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ফাটাতে হবে আতশবাজি। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ না মানলে আইন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে লালবাজার। শব্দবাজি রোধে ও আইন মেনে আতশবাজি ফাটানোর জন্য শহরবাসীকে সচেতন করতে তিনটি ভাষায় পোস্টার ও লিফলেট বিলি করতে শুরু করেছে পুলিশ। শহরের বহুতল আবাসনগুলিতে শব্দবাজি বন্ধ করতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আবাসনের বাসিন্দা—সহ শহরের বেশ কিছু অঞ্চলের যে বাসিন্দারা নতুন প্রজন্মের, তাঁদের একটি বড় অংশ ইংরেজিতে পড়াশোনা করতেই বেশি অভ্যস্ত। তাই এই বছর ইংরেজিতে লিফলেট ও পোস্টার তৈরি করেছে লালবাজার। এ ছাড়াও ইংরেজিতে তৈরি একটি পোস্টারে ১২৭টি নিষিদ্ধ বাজির নামও ছাপা হয়েছে। প্রয়োজনে এই তালিকা মিলিয়ে শহরবাসীরা কিনতে পারেন বাজি। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ইংরেজি, বাংলা ও হিন্দি ভাষায় প্রায় লাখ পাঁচেক পোস্টার ও লিফলেট ছাপানো হয়েছে। শহরের প্রত্যেকটি পুলিশ আবাসনে মাইক নিয়ে প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। লাগানো হচ্ছে পোস্টারও। পুলিশ আবাসনে যাতে শব্দবাজি না ফাটে, সেই বিষয়ে সতর্ক করে ইতিমধ্যে কলকাতার প্রত্যেকটি থানার ওসি ও পুলিশ আধিকারিকদের বার্তা দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। এই নির্দেশ মেনেই পুলিশ আবাসনগুলিতে চলছে প্রচার। কালীপুজোর রাতে পুলিশ আবাসনগুলির দিকে বিশেষ নজরও রাখা হবে বলে জানিয়েছে লালবাজার।
আতশবাজি থেকে যাতে দূষণ না হয়, তার জন্য শব্দহীন বাজির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ মেনেই পুলিশের পক্ষ থেকে লিফলেট দিয়ে জানানো হয়েছে, অবশ্যই যেন রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যেই ওই বাজিগুলি ফাটানো হয়। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই সময়ের আগে অথবা পরে আতশবাজি ফাটাতে দেখা গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি থানাকে লালবাজারের পক্ষে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।
তবে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সময়ের বাইরে কাউকে আতশবাজি ফাটাতে দেখলে তাকে প্রথমে বারণ করা হতে পারে। ফের পরে আতশবাজি ফাটালে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। একই সঙ্গে শহরে কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজি যাতে না ফাটে, তার জন্যও জোরদার প্রচার শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.