Advertisement
Advertisement
কলকাতা পুলিশ

সিভিল ড্রেসে একুশের সমাবেশে ভিড় সামলাল কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী

এই বাহিনীর সদস্যরা মূলত কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট।

Kolkata Police deploys special force in Dharmatola for 21 july's event
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 22, 2019 8:52 am
  • Updated:July 22, 2019 8:59 am  

অর্ণব আইচ: পরনে তাঁদের নীল টি-শার্ট, জিনস প্যান্ট ও স্পোর্টস শু। কড়া নজর মঞ্চ ও জনতার দিকে। এই বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে ভিভিআইপি ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় ধর্মতলা চত্বরে নামল কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী। সাদা পোশাকের এই বাহিনীর সদস্যরা মূলত কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট। নিরাপত্তার খাতিরে রবিবার সকাল থেকে সমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নজরদারি চালালেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: তৃণমূলের শহিদ দিবসে গরহাজির একঝাঁক তারকা, কারণ কী?]

কয়েকদিন আগেই একটি বৈঠকে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা আধিকারিকদের বলেছিলেন, ২১ জুলাই বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ কলকাতায় আসেন। তাঁদের কাছে যেন কলকাতা পুলিশের সন্মান অক্ষুণ্ণ থাকে। রবিবার সমাবেশে কলকাতায় লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্ন জেলা থেকে এলেন। সমাবেশের পর তাঁরা নির্বিঘ্নে ফিরে গেলেন বাড়িতে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ মেনেই রাজ্যের মানুষের কাছে নিজের সন্মান অক্ষুণ্ণ রাখল কলকাতা পুলিশ। এদিন ছুটি থাকায় কিছুটা সুবিধা হয়েছিল পুলিশের। সকাল থেকেই ধর্মতলার দিকে মানুষের মিছিল আসতে শুরু করে। হাওড়া স্টেশন থেকে ব্রেবোর্ন রোড, স্ট্র‌্যান্ড রোড ও শিয়ালদহ থেকে মৌলালি, এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে মিছিল আসে। এ ছাড়াও উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার, গিরিশ পার্ক, দক্ষিণ কলকাতার হাজরা, বন্দর এলাকার গার্ডেনরিচ থেকে আসতে শুরু করে মানুষের মিছিল। একই সঙ্গে শহরে বাস ও মালবাহী গাড়ি করেও আসতে শুরু করে মানুষ।

Advertisement

সকাল থেকে বিভিন্ন রাস্তায় ছিলেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। মানুষের ভিড়ের কারণে ধর্মতলার আশপাশে পার্ক স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের অংশ, এস এন ব্যানার্জি রোড, লেনিন সরণির মতো রাস্তাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, এজেসি বোস রোড-সহ শহরের অন্যান্য রাস্তাগুলিতে যান চলাচল যাতে অব্যাহত থাকে, সেই ব্যবস্থা করে পুলিশ।
নিরাপত্তার ঘাটতি যাতে না হয়, সেদিকে নজর ছিল লালবাজারের কর্তাদের। পুলিশ কমিশনার নিজেই মঞ্চ ও তার আশপাশের অঞ্চল পরিদর্শন করেন। নিরাপত্তার খাতিরে মঞ্চ ও ধর্মতলা চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছিল সিসিটিভি ক্যামেরায়। বাদ দেওয়া হয়নি মঞ্চের নিচের দিকের অংশও। যাতে কোনও মহিলার অসন্মান না হয়, তার জন্য তৈরি ছিল মহিলা পুলিশের বিশেষ টিম ‘উইনার্স’ বাহিনীও। লালবাজার কন্ট্রোল রুম থেকে প্রত্যেক বিষয় মনিটরিং করেন পুলিশকর্তারা। সিইএসসি বিল্ডিংয়ের ছাদে তৈরি হয়েছিল পুলিশের অতিরিক্ত কন্ট্রোল রুম। পুলিশের নজরদারি ছিল আশপাশের বহুতলের ছাদ থেকেও। এমনকী নজরদারি চলে আকাশপথেও।

[ আরও পড়ুন: একুশের পথেই ‘একুশি’, শহিদ দিবসে যোগ দিতে আসার পথেই কন্যা প্রসব মহিলার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement