ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী পয়লা মার্চ শহিদ মিনারে অমিত শাহর সভায় অনুমতি দিল সেনা, কিন্তু বাধ সাধল পুলিশ। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, ওই সময়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকবে। তাই মাইক বাজিয়ে প্রচার হলে, পরীক্ষার্থীরা সমস্যার মুখে পড়বে। যদিও রাজ্য বিজেপির দাবি, পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হয়, এমনভাবে সভাই করা হবে না। কাজেই পুলিশের অনুমতি পাওয়া প্রত্যাশিত। নেতৃত্বের আরও প্রশ্ন, যেখানে সেনাবাহিনীর অনুমতি মিলেছে, সেখানে পুলিশের বাধা কেন? এই নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) নিয়ে বঙ্গবাসীকে বোঝাতে মার্চের প্রথম দিনই কলকাতায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শহিদ মিনারে এই আইনের সমর্থনে সভা করার কথা তাঁর। পাশাপাশি তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার কর্মসূচিও রয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের। শাহর সভায় সেনাবাহিনীর অনুমতি মিলেছে বৃহস্পতিবারই। ওই দিন লালবাজারের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের তরফে। তবে সেই অনুমতি মেলেনি বলে শুক্রবার লালবাজার সূত্রে খবর। ওই সময়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে, তাই সভার অনুমতি দিলে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার যুক্তি দেখিয়ে পুলিশ সভার অনুমতি নাও দিতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিলই। কিন্তু বিজেপি নেতাদের যুক্তি ছিল, শহিদ মিনারের আশেপাশে কোনও বসতি এলাকা বা স্কুল নেই। ওইদিন রবিবার, কোনও পরীক্ষা নেই। তাই মাইক বাজলেও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু শুক্রবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে পুলিশ কর্তারা বৈঠক করার পর সাফ জানিয়ে দেন, শহিদ মিনারে ওই সময়ে কোনও সভারই অনুমতি দেওয়া যাবে না। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা চলাকালীন রাজ্যের কোনও প্রান্তেই মাইক বাজানো যায় না। আদালতের নির্দেশও সেই একই। পুলিশ সূত্রে দাবি, সমস্ত আইন মেনেই পয়লা মার্চ অমিত শাহর সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে সভা বাতিল বলেও ঘোষণা হয়নি এখনও। ফলে CAA সমর্থনে অমিত শাহর সভা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটল না। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়রা অভিযোগ তুলেছেন যে বিজেপির সভা বলে নানা অজুহাত দেখিয়ে বাতিল করার পথে হাঁটছে কলকাতা পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.