ছবি: পিন্টু প্রধান।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খাস কলকাতায় জোড়া খুনের কিনারা করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। তিনদিন পর গ্রেপ্তার ৩। কিন্তু এখনও অধরা মূলচক্রী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে খুনের মোটিভ ও ধৃতদের পরিচয় খোলসা করলেন কলকাতার নগরপাল তথা সিপি বিনীত গোয়েল। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে প্রবল আক্রোশে গুজরাটি দম্পতিকে হত্যা করা হয়েছে।
ভবানীপুরের জোড়া খুনের (Bhowanipore Murder Case) তদন্তে নেমে সন্দেহভাজনদের নামের তালিকায় তৈরি করেছিল কলকাতা পুলিশ। তালিকার একেবারে উপরদিকে ছিল মৃত দম্পতির পরিচিত, আত্মীয়দের নাম। শেষপর্যন্ত সেই সন্দেহ সত্য হল। আক্রোশ মেটাতে দীর্ঘদিন ধরে খুনের পরিকল্পনা করেছিল মূল অভিযুক্ত। টাকার লোভ দেখিয়ে দলে টেনেছিল তিন প্রতিবেশীকেও। সোমবার মূল অভিযুক্তর সঙ্গে তারাও ভবানীপুরের শাহ দম্পতির বাড়িতে গিয়েছিল।
পরিচিতকে দেখে দরজা খুলে দিয়েছিল শাহ দম্পতি। ঘরে বসে দেনা মেটানো নিয়ে আলোচনা চলে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে অশোক শাহের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন মূল অভিযুক্তর ভাই। করোনা কালে তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে সেই টাকা মেটানোর দায়িত্ব ছিল মূল অভিযুক্তর। কিন্তু ব্যবসায় মন্দার অজুহাতে সেই টাকা আর ফেরত দেয়নি। ধার মেটানোর জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিলেন অশোক শাহ। সেই বিষয়ে কথা বলার অজুহাতে সোমবার শাহ দম্পতির বাড়িতে এসেছিল অভিযুক্তরা।
১ লক্ষের বদলে কম টাকায় দেনা মিটিয়ে দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে অশোক শাহের সঙ্গে দর কষাকষি করছিল আততায়ীরা। তাদের জন্য জলও আনেন রশ্মিতা শাহ। তার পরই অশোককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় মূল অভিযুক্ত। পরে গুলি করে খুন করা হয় তাঁর স্ত্রীকেও। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তর তিন সহযোগী সুবোধকুমার সিং(৪৫), যতীন মেহতা(৪২) এবং রত্নাকর নাথ (৩৯)-কে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। তিনজনই লিলুয়ার বাসিন্দা। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার। তার খোঁজ চলছে। এদিন অবশ্য তদন্তের স্বার্থে মূল অভিযুক্তর নাম-পরিচয় ফাঁস করেননি নগরপাল বিনীত গোয়েল। এদিন ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.