Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলকাতা পুলিশ

শহরে জঙ্গি হামলা রুখতে এবার কলকাতা পুলিশের কমান্ডোদের হাতেও ‘স্টান গ্রেনেড’

বিকট শব্দ আর সঙ্গে দম বন্ধ করা ধোঁয়া, ‘স্টান গ্রেনেড’ ঘাবড়ে দিতে পারে জঙ্গিদেরও।

Kolkata Police Commandos to get stunn grenade soon
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 18, 2019 12:16 pm
  • Updated:July 18, 2019 12:16 pm  

অর্ণব আইচ: বিকট শব্দ আর সঙ্গে দম বন্ধ করা ধোঁয়া। ‘স্টান গ্রেনেড’ ঘাবড়ে দিতে পারে জঙ্গিদেরও। তাই জঙ্গি অভিযানের মহড়ায় কলকাতা পুলিশের কমান্ডো বাহিনীর হাতেও উঠে এসেছে ‘স্টান গ্রেনেড’।

মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার সামনে পুলিশের উপর মারমুখী জনতার ভিড় সরাতে স্টান গ্রেনেড ছোঁড়ে জেলা পুলিশ। তাতে কিছুক্ষণের জন্য কাজও হয়। সরে যায় জনতা। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিককালে কলকাতায় আইন ও শৃঙ্খলা আয়ত্তে আনার জন্য স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়নি। বরং তার চেয়ে কাঁদানে গ্যাস অনেক বেশি কার্যকর মনে হয়েছে পুলিশকর্তাদের। তাই আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। চোখ জ্বালা শুরু হতেই পালাতে শুরু করে উন্মত্ত জনতা। এক পুলিশকর্তার মতে, জনতাকে ছত্রখান করার জন্য কার্যকর হতে পারে স্টান গ্রেনেডও। কিন্তু আচমকা প্রচণ্ড শব্দ হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষ, এমনকী ঘটনাস্থলে ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীদেরও শ্রবণশক্তির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যেতে পারে। কারণ, এই গ্রেনেডের শব্দের মাত্রা ১৭০ ডেসিবেলের বেশি।

Advertisement

লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, সেই কারণেই আইন ও শৃঙ্খলার সমস্যায় জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার বদলে জঙ্গি অভিযানেই এই গ্রেনেডটিকে ব্যবহার করার মূল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো স্টান গ্রেনেড নিয়ে নিজেদের তৈরি রাখছেন কলকাতা পুলিশের কমান্ডোরাও। মহড়ার সময় এমন একটি ঘরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে, যেখানে নকল জঙ্গি লুকিয়ে আছে। চুপিসারে কোনও শব্দ না করে সেই ঘরের কাছে যাচ্ছেন কমান্ডোরা। ঘরের বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়, কোন কোনায় এক বা একাধিক জঙ্গি লুকিয়ে আছে। ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে মুহূর্তের মধ্যে পিন খুলে ঘরের ভিতর ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে স্টান গ্রেনেড। বদ্ধ ঘরের মধ্যে এই শব্দের তীব্রতা অনেকটাই বেশি।

পুলিশকর্তাদের মতে, প্রচণ্ড শব্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়াও বের হয়। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে ঘাবড়ে যেতে পারে জঙ্গিরা। তার সঙ্গে ধোঁয়া তাদের চোখের উপর আস্তরণ তৈরি করে। কিছুক্ষণের জন্য কিছুই দেখতে পায় না তারা। পুরো বিষয়টি কয়েক সেকেন্ডের জন্য হয়। এর মধ্যেই সুযোগ নেন কমান্ডোরা। তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করেন। কাবু হয় জঙ্গিরা। কমান্ডোদের পোশাকি ভাষায় এই মহড়ার নাম ‘ইন্টারভেনশন রুম ড্রিল’। যদিও এই জঙ্গি অভিযানের মহড়ার সময় যাতে শব্দ বা ধোঁয়ায় কমান্ডোদের কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য তাঁরা যথেষ্ট ব্যবস্থা নেন। এভাবে এখন কমান্ডোরা মহড়া চালালেও যদি কোনওসময় শহরে সত্যিকারের জঙ্গিহানা হয়, তবে একইভাবে যাতে কমান্ডোরা স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করতে পারে, তার জন্য তাঁদের তৈরি থাকতে বলে হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement