Advertisement
Advertisement
nasal sprays

বাংলার প্রতিষ্ঠানের তৈরি নাকের ড্রপেই নিকেশ হবে করোনা! নাইপারে’র দাবিতে চাঞ্চল্য

এই ড্রপ নিলে মাস্কও পরতে হবে না?

Kolkata: NIPER working on nasal sprays, drugs to fight Covid-19 | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:March 8, 2021 8:57 pm
  • Updated:March 8, 2021 8:57 pm

অভিরূপ দাস: বাংলার ওষুধ পথ দেখাবে দুনিয়াকে। মানিকতলার কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে নাকের ড্রপ। চিকিৎসকদের দাবি, দিনে দু’বার দু’ফোটা। তাতেই কাবু হবে করোনা (Corona Virus)। নতুন এই ওষুধ নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য চরমে।

কেমন ভাবে কাজ করবে এই ওষুধ? ৫০ থেকে ২০০ ন্যানোমিটার ব্যাসের করোনা ভাইরাস (COVID-19) নিশ্বাসের মাধ্যমে ঢুকে পরে শরীরে। অন্যান্য ভাইরাসের মতো এতেও রয়েছে এমন সব জিন যার মধ্যে লুকিয়ে আছে নির্দিষ্ট ধরণের কোষের ভিতরে ঢোকার এবং সেই কোষের মধ্যে প্রতিলিপি তৈরির ক্ষমতা। এই ভাইরাস নাক দিয়ে শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে ঢুকে যায় এবং ফুসফুসে গিয়ে পৌঁছায়। ফুসফুসে পৌঁছে শ্বাসনালী ব্রঙ্কি বলে দু’টো ভাগে ভেঙে যায়। তবে ফুসফুসে প্রবেশের আগে নাকের মধ্যেই কিছু সময় থাকে ভাইরাস। সেখানেই তাকে খতম করার ফন্দি এঁটেছেন গবেষকরা।

Advertisement

৮০০ টাকা খরচ করে বেঙ্গল কেমিক্যাল (Bengal Chemicals) অ্যান্ড ফার্মাসিউটিকল ওয়ার্কস তৈরি করেছিলেন আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়। ম্যালেরিয়ার ওষুধ বেড়িয়েছিল যে কারখানা থেকে, তার পাশের প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন ফার্মাসিউটিকল অ্যান্ড রিসার্চ (NIPER) থেকেই এবার বাজারে আসছে করোনা নিকেশ করার নাকের ড্রপ।

[আরও পড়ুন: ‘কোভিড ভ্যাকসিন না মোদি ভ্যাকসিন?’, সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবিকে কটাক্ষ মমতার]

নাক দিয়ে ঢুকে রিসেপটরে কাঁটার মতো আটকে থাকে ভাইরাস। এই কাঁটাকেই ভেঙে দেবে নাকের ড্রপ, যাতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড থুড়ি লাইসিন। নির্মাতাদের দাবি এই ড্রপ নিলে মাস্কও পরতে হবে না। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের আগে এই ওষুধ কি বাজারে আনা সম্ভব? নাইপার অধিকর্তা ডা. ভি রবিচন্দ্রণ, জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিন, কিম্বা জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির করোনা ভ্যাকসিন ক্লিনিকাল ট্রায়ালের আগেই বাজারে চলে এসেছিল। জরুরি ভিত্তিতে এই নাসাল ড্রপও বাজারে আত্মপ্রকাশ করবে খুব শিগগিরই। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য পিজি আই চণ্ডীগড়, অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে (দিল্লি) পাঠানো হচ্ছে এই ওষুধ।

অ্যাপোলো হাসপাতালের কনসালট্যান্ট, IIT মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. দেবতোষ দত্ত জানিয়েছেন, আপাতত ঠিক হয়েছে দিনে দু’বার এই ড্রপ দিলেই হবে। নাকের ভেতরের ইন্সপিরেটরি কলামে থেকে যাবে লাইসিন। নন স্পেসিফিক বাইন্ডার মলিকিউল দিয়ে তৈরি এই নাকের ড্রপ নিশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করা ভাইরাসকে আটকে থাকতে দেবে না। ৪ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বাজারে আসতে চলেছে এই ওষুধ। প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা জানিয়েছেন, ক্ষারধর্মী অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়েই তৈরি হচ্ছে নাকের এই ড্রপ। সোমবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করল এই ড্রপটি। যেখানে হাজির ছিলেন, নাইপার অধিকর্তা ডা. ভি রবিচন্দ্রণ, সহকারী অধ্যাপক ডা. সোমসুন্দরম আরুমুগাম প্রমুখ। প্রাথমিকভাবে এর একটা ওলিগমার (নানান লাইসিন মিলিয়ে তৈরি যৌগ) তৈরি করার কথা ভেবেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তার দাম অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। আপাতত ঠিক হয়েছে নিম্ন মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই থাকবে দাম।

[আরও পড়ুন: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড বড়বাজারে, আগুনের গ্রাসে পূর্ব রেলের সদর দপ্তর]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement