অভিরূপ দাস: করোনায় অতিরিক্ত বিল নিয়ে অভিযোগের পাহাড় ছিলই। সেখানে এবার নতুন মাত্রা যোগ হল, ‘চিকিৎসকের ঘুষ চাওয়া’। মারাত্মক এ অভিযোগ দক্ষিণ কলকাতার নামজাদা এক নার্সিংহোমের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
করোনা নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata) ইউএন ব্রহ্মচারী স্ট্রিটের ওই নার্সিংহোমে ভরতি ছিলেন অভিযোগকারী। ১৪ দিন কোভিড চিকিৎসায় তাঁর বিল দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার। তবে আসল অভিযোগ অন্য জায়গায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন, বিল বাদ দিয়েও চিকিৎসক তাঁর কাছে আলাদা করে ১ লক্ষ টাকা চেয়েছেন। শর্ত দেওয়া হয়, সে টাকা মিললেই আরও উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়া হবে। চিকিৎসায় গাফিলতির একাধিক অভিযোগ আসলেও, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গোপনে অতিরিক্ত টাকা চাওয়ার অভিযোগ বিরল। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই ঘটনাটি দেখছে স্বাস্থ্য কমিশন। অভিযোগকারী এবং চিকিৎসক দু’পক্ষকেই হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে।
যদিও সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। উলটে যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ উঠছে, তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছে নার্সিংহোম। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওঁ যথেষ্ট যোগ্য চিকিৎসক। করোনা আবহে কয়েকশো রোগীর চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলেছেন। অযথা ওঁকে বদনাম করার চেষ্টা করছে কেউ। সূত্রের খবর, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তা সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে দিয়েছেন অভিযোগকারী।
এ ঘটনায় অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন চিকিৎসক। নার্সিংহোমের পক্ষ জানানো হয়েছে, “ওই রোগীর পরিবার যে কাজ, করেছেন তা অত্যন্ত নক্ক্যারজনক। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শীঘ্রই সত্য বেরিয়ে আসবে।” এদিকে, স্বাস্থ্য কমিশনেও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। দু’পক্ষের হাতে নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে যা প্রমাণ রয়েছে তা ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামার আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে কমিশনে। নার্সিংহোমে কোভিড (COVID-19) চিকিৎসার বিল নিয়ে রোগীর পরিবারের যে অভিযোগ, তা সারবত্তাহীন বলেই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, বিল নিয়ে ওরা এত কথা বলছে। ১৪ দিনে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার এমন কিছু বিল নয়। অনেক জায়গায় ১৪ দিনে এর দ্বিগুণ বিল নেওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.