Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mimi Chakraborty

চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি! জীবনে প্রথমবার জেলে গিয়ে আসামী শনাক্ত করলেন মিমি

প্রায় এক ঘণ্টা জেলের ভিতরেই ছিলেন।

Kolkata: Mimi Chakraborty reached Alipore jail for test identification parade | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:September 25, 2020 8:44 pm
  • Updated:September 25, 2020 8:44 pm  

কৃষ্ণকুমার দাস: জীবনে প্রথমবার কোনও জেলে পা রাখলেন। তাও পুরুষ আসামীদের জন্য নির্ধারিত বন্দি সেলের সামনে দাঁড়াতে হল। চরম অস্বস্তিঘেরা ও বিব্রতকর প্রেক্ষাপট হলেও নারী সুরক্ষা দিতেই শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত এক মদ্যপকে শাস্তি দিতে বিচার ব্যবস্থার প্রয়োজনে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।
         
টলিউডের ব্যস্ত অভিনেত্রী ও যাদবপুরের সাংসদ। সম্প্রতি গড়িয়াহাটে প্রকাশ্যে তাঁকে অশ্লীল ইঙ্গিত ও কটুক্তি করে এক ট্যাক্সি চালক। তাকে ‘টিআই প্যারেডে’ (test identification parade) শনাক্ত করতেই শুক্রবার দুপুরে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েছিলেন মিমি। বৃষ্টির মধ্যেও ঘড়ির কাটা ধরে তিনি আলিপুরের বিচারকের নির্দেশ মেনে হাজির হয়েছিলেন। প্রায় এক ঘণ্টা জেলের ভিতরেই ছিলেন। পরে তিনি বলছিলেন, “এটা আমাকে করতেই হত। অভিযোগটি যেহেতু আমি করেছিলাম, তাই বিচার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করা আমার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। চাইলে মানুষ একটু সময় করে, আইনি প্রক্রিয়ায় দোষীদের শাস্তি দিতে পারে, তা প্রমাণিত। শহরকে নিরাপদ রাখার তাগিদ নিয়ে আমার ব্যস্ত শিডিউল থেকেও সময় অ্যাডজাস্ট করেছি।  আগের দিন কোর্টে গিয়ে গোপন জবানবন্দি দিয়েছি, আর আজ টিআই প্যারেডে চালককে শনাক্ত করেছি।”

[আরও পড়ুন: ফাঁকা বাসস্ট্যান্ডে যৌনতার প্রস্তাব! রাতের কলকাতায় ফের দুর্ব্যবহারের শিকার তরুণী]
         

জেলের ভিতরে তাঁর দিকে অন্য সমস্ত পুরুষ বন্দিরা শ্যেণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখলেও সাংসদ-অভিনেত্রী যে বিন্দুমাত্র থমকে যাননি, তা এদিন স্বীকার করছেন প্যারেড প্রক্রিয়ায় যুক্ত পুলিশ অফিসাররা। বলছেন, “অনেক পুরুষকেও দেখেছি ভয়ে হাত পা কেঁপে বাড়ি ফিরে যেতে। ভুল করেছে টিআই প্যারেডে এসে। কিন্তু এদিন সটান এসে কোনও ভ্রুক্ষেপ না করে প্রকৃত ব্যক্তিকেই শণাক্ত করে ফিরে গেলেন মিমি। এমন সাহসী অভিযোগকারিণী সত্যিই বিরল।” জেলের ভিতর গিয়ে এমন আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে সাংসদ-অভিনেত্রী রীতিমতো গর্বিত।

Advertisement

বলেন, “এভাবে একটা পুরুষ প্রধান জেলে গিয়ে আসামীকে শনাক্ত করাটা একটু অস্বস্তিকর হলেও আইনের জন্য তা করেছি। অন্য অভিযোগকারীর জন্য যা ব্যবস্থা আমার জন্যও তাই ছিল। তাই তো জেলের ভিতরে গিয়ে টিআই প্যারেডে শনাক্ত করলাম। আইনকে সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়ে নিজেই সম্মানিত বোধ করছি।” ট্যাক্সি চালকের চরম দুর্ব্যবহার ও শ্লীলতাহানি মামলায় পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করতে ঘটনার চারদিনের মাথায় সটান কোর্টে গিয়ে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন মিমি। ঘটনার দিন দুপুরে রাস্তায় নেমে মদ্যপ টাক্সি চালককে শিক্ষা দিয়েছিলেন তিনি, পরে পুলিশে এফআইআরও করেন সাংসদ-অভিনেত্রী।

[আরও পড়ুন: মাদক সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন দীপিকা! সুশান্ত মামলার চাঞ্চল্যকর মোড়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement