ছবি: প্রতীকী
নব্যেন্দু হাজরা: দিল্লির ধাঁচে এবার রং দিয়েই লাইন চিহ্নিত করা হবে কলকাতা মেট্রোতেও (Kolkata Metro Railway)। ইস্ট-ওয়েস্ট থেকে জোকা-বিবাদি বাগ বা নর্থ সাউথ থেকে নোয়াপাড়া-বারাসত সবকটি লাইনই এবার চিহ্নিত হবে কালার মার্কিং দিয়ে। জংশন স্টেশনগুলোর প্ল্যাটফর্মে লাল-নীল, সবুজ-হলুদ রংয়ের পায়ের ছাপ দিয়ে চিহ্নিত করা হতে পারে, যাতে প্রথমবার মেট্রোয় চড়া যাত্রীও সহজেই এক রুটের মেট্রো থেকে নেমে সেই পায়ের ছাপ দেখে লাইন বদলে অন্য রুটের ট্রেনে উঠে যেতে পারেন।
দিল্লি (Delhi) মেট্রোতে মাকড়শা-র জালের মতো ন’টি লাইন রয়েছে। একেকটি রুট একেকটি রংয়ের সেখানে। মেট্রোসূত্রে খবর, এবার কলকাতায় মেট্রোর বিভিন্ন করিডর বিভিন্ন রংয়ের হবে। দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ হচ্ছে নীল রং, কবি সুভাষ-বিমানবন্দর কমলা, ইস্ট-ওয়েস্ট সবুজ, জোকা-বিবাদি বাগ বেগুনি, নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর-বারাসত হলুদ, বরানগর-বারাকপুর গোলাপি। ইতিমধ্যেই রংয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে, তবে এবিষয়ে এখনই মেট্রোর কোনও কর্তা মুখ খুলতে চাননি। সূত্রের খবর, প্রতিটি প্রকল্পকে কালার মার্কিং করার জন্য আরভিএনএলকে বৃহস্পতিবার মেট্রোর তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এবং দ্রুত কাজ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
এতদিন উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোতেই যাত্রীরা কেবল যাতায়াত করতেন। বছর দুয়েক আগে চালু হয় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর একাংশও। আগামী দু’বছরের মধ্যে শহর-শহরতলিকে জুড়তে একাধিক রুট চালু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে জংশন স্টেশনগুলোকে চিহ্নিত না করলে যাত্রীদের এক লাইন থেকে অন্য লাইনে যেতে সমস্যা হবে। তাঁরা বুঝতে পারবেন না, কোন স্টেশন কোন মেট্রোর অন্তর্ভুক্ত। মানে যিনি মেট্রোর নিত্যযাত্রী নন, তাঁর পক্ষে নতুন নতুন স্টেশনের নাম মনে রেখে, সেটা কোন রুটে চলে, তা অনেকক্ষেত্রেই বুঝে ওঠা সম্ভব হবে না। তাই রং দিয়ে চিহ্নিত করা হলে তাঁরা দ্রুত বুঝতে পারবেন। টিকিট দিতেও সুবিধা হবে কর্তৃপক্ষের। ধরা যাক, কেউ সেক্টর ফাইভ থেকে মাঝেরহাট স্টেশন যাবেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় চড়ে এসপ্ল্যানেড স্টেশনে এসে জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রোয় চড়তে হবে। যেহেতু জোকা-বিবাদি বাগ বেগুনি রংয়ের, তাই তাঁকে সবুজ লাইনে এসে বেগুনি লাইনের ট্রেনে চড়তে হবে। ফলে যাত্রীরা লাইনের রং মনে রাখলেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন।
শহর-শহরতলি জুড়তে যে ছ’টি রুট চালু হচ্ছে, সেগুলিতে জংশন স্টেশন থাকছে এসপ্ল্যানেড, নিউ গড়িয়া, বিমানবন্দর, সেক্টর ফাইভ। এই স্টেশনগুলোর এক রুটের লাইন থেকে অন্য রুটের লাইনে যাওয়ার জন্য প্ল্যাটফর্মে দেওয়া হতে পারে নির্দিষ্ট রংয়ের পায়ের ছাপ। মেট্রো কর্তারা জানাচ্ছেন, এই পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই নেওয়া হয়েছিল, তবে এদিন সিদ্ধান্ত হয়েছে। জংশন স্টেশনগুলোর প্ল্যাটফর্মে লাল-নীল, সবুজ-হলুদ রংয়ের পায়ের ছাপ দিয়ে চিহ্নিত করা হতে পারে। যাতে প্রথমবার মেট্রোয় চড়া যাত্রীদের সুবিধা হয়। দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ হচ্ছে নীল রং, কবি সুভাষ-বিমানবন্দর কমলা, ইস্ট-ওয়েস্ট সবুজ, জোকা-বিবাদি বাগ বেগুনি, নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর-বারাসত হলুদ, বরানগর-বারাকপুর গোলাপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.