নব্যেন্দু হাজরা: মেট্রো যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নয়া উদ্যোগ কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষের। দিল্লি মেট্রোর আদলে যাত্রীদের সিটে স্টিকার সাঁটালেন তাঁরা। লকডাউনে মেট্রো চালানোর দিনক্ষণ এখনও স্থির না হলেও আগাম প্রস্ততি সেরে রাখলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
লকডাউন ৫.০ তে কবে থেকে চলতে শুরু করবে পাতাল রেল? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। কিন্তু আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখতে দোষ কোথায়! তাই যাত্রী চলাচলের আগেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রস্তুতি সেরে রাখলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের কামরায় যেখানে যাত্রীরা বসবেন এবং দাঁড়াবেন, নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে সেখানে স্টিকার আটকে দেওয়া হবে মেট্রোর তরফে। সেই স্টিকার দেখেই তোলা হবে যাত্রীদের। স্টিকারের উপরেই বসতে হবে তাদের। সোমবার মেট্রো কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশী। শুধু ট্রেনের কামরা নয়, স্টেশনে ঢোকার গেটে, টিকিট কাউন্টার, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর জায়গা সবেতেই নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।
মেট্রো সূত্রে খবর, ট্রেনের কামরা ভরতি হয়ে গেলে স্টেশনে ঢোকার মুখেই আটকে দেওয়া হবে যাত্রীদের। নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী কামরায় ভরে গেলে বন্ধ করে দেওয়া হবে স্টেশনে ঢোকার মূল গেটের সাটার। ট্রেন ধরতে আসা বাকি যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে বলা হবে স্টেশনের বাইরেই। ঠিক হয়েছে যে, প্রত্যেক যাত্রীর মাস্ক পরে স্টেশনে ঢোকা বাধ্যতামূলক। স্টেশনে প্রবেশের আগে সকলের থার্মাল স্ক্যানিং হবে। শরীরের তাপমাত্রা বেশি প্রমানিত হলে সেই যাত্রীকে আর স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সামাজিক দূরত্ব মেনে প্ল্যাটফর্ম এবং টিকিট কাউন্টারের বাইরে হলুদ দাগ দিয়েই যাত্রীদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা থাকছে। এক মিটার অন্তর দাঁড়াতে হবে তাঁদের।
মেট্রোসূত্রে খবর, স্টেশনে থাকা কর্তব্যরত আরপিএফ (RPF) কর্মীরা প্রত্যেকেই পিপিই (PPE) পড়ে কাজ করবেন। কর্মীদের হাতে গ্লাভস থাকবে। যাত্রীদের সঙ্গে তাঁদের হাত মেলাতে ও সংস্পর্শে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কবে থেকে শহরের এই লাইফলাইন সচল হবে তা ঠিক না হলেও পাতাল যাত্রার যাবতীয় প্রস্তুতি এইবেলাই সেরে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.