সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে সরকারি পরীক্ষা কিট পাচারের অভিযোগ সংক্রান্ত অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল শুক্রবার। আর সেই প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ‘বেকসুর’ তৃণমূল বিধায়ক তথা বর্ষীয়ান চিকিৎসক সুদীপ্ত রায় ও তৃণমূল কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা জয়ন্ত ঘোষ। এদিন অন্তর্বর্তীকালীন তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় ১১ সদস্যের কমিটি। এই কমিটিতে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের চারজন প্রতিনিধিও।
অভিযোগ ছিল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় এবং প্যাথলজি বিভাগের কর্মী ও তৃণমূলের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা জয়ন্ত ঘোষের মদতে সরকারি কিট বেসরকারি ল্যাব ও নার্সিংহোমে পাচার করা হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের তরফে এই অভিযোগ তোলা হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রাখা হয় জুনিয়র ডাক্তারদের চার প্রতিনিধিকেও। অন্তর্বর্তী তদন্তের পর শুক্রবার রিপোর্ট জমা পড়ে। তাতে দেখা যায়, অভিযোগের সপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। এই অভিযোগ লোক মুখে শুনে করা। সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে কিট পাচারের বিষয়ে হাসপাতালের কোনও কর্মী, বাইরের কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ মেলেনি।
আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে সরকারি হাসপাতালগুলিতে। কখনও আর্থিক দুর্নীতি, কখনও কাঁচি দুর্নীতি। বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকেও। মূলত এই হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ও জেনারেল বেড বিক্রির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে অন্তর্বর্তী রিপোর্টে অভিযোগের সপক্ষে কোনও তথ্য প্রমাণ পেল না হাসপাতাল গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে বেড বিক্রির যে অভিযোগ উঠেছে, তা ঠেকাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে। রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায় ও টিএমসি-র কর্মী ইউনিয়নের নেতা জয়ন্ত ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সোমবার হাসপাতালে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে পৃথক তদন্ত কমিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.