Advertisement
Advertisement

সম্পর্কের ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ আদালতের, ডিভোর্সেই অনড় মেয়র

রুদ্ধদ্বার কক্ষে শুনানির আবেদন মেয়রের।

Kolkata Mayor Sovan Chatterjee reluctant to mend ties with wife
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 19, 2018 5:25 pm
  • Updated:August 10, 2019 2:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যু হলেও তিনি আর স্ত্রীর কাছে ফিরতে চান না। দিনকয়েক আগে এরকম কথাই শোনা গিয়েছিল মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মুখে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের তিক্ততা তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারেও প্রভাব ফেলছে বলে অনেকে মনে করছেন। তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় মেয়র। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে, তাঁর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, সমঝোতার কোনও প্রশ্নই নেই। ডিভোর্সই চান তিনি।

[  দূরপাল্লার ট্রেনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের তোলাবাজিতে নাকাল যাত্রীরা ]

Advertisement

এর আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাধ করে তো আর কেউ বিবাহ বিচ্ছেদ চায় না। তিনি নিজে যখন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সে কাজ করেছেন, তখন বুঝতে হবে, পরিস্থিতি সেই জায়গায় পৌঁছেছিল। তিক্ততা এমন পর্যায়ে যে, মৃত্যুতেও স্ত্রী ও পৈত্রিক বাড়িতে ফিরতে নারাজ মেয়র। এর মধ্যেই ঝড়ের মতো ঢুকে পড়েন বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে মেয়রের সম্পর্ক নিয়েও নানামহলে জল্পনা চলে। যদিও মেয়র বৈশাখির পাশে দাঁড়ানোরই সিদ্ধান্ত নেন। বলেন, ব্যক্তিগত বিপর্যয়ে বৈশাখি বন্ধুর মতো তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এখন বৈশাখির পাশে না থাকার কোনও প্রশ্নই নেই। অন্যদিকে মেয়রের স্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, বৈশাখি কবে থেকে তাঁদের পারিবারিক বন্ধু হলেন? পালটা উত্তর দিয়ে বৈশাখি বলেন, মেয়রের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের আলাপ। একে অন্যের পরিবারের অনুষ্ঠানে গিয়েছেন তাঁরা। ফ্লাইটে একসঙ্গে গিয়েছেন। এমনকী হোয়্যাটসঅ্যাপেও কথা হয়েছে। তাহলে এখন কেন অস্বীকার করা হচ্ছে তাঁকে, তা তার বোধগম্য হচ্ছে না। এই চাপানউতোর ঘিরে দিনকয়েক উত্তাল হয়েছিল বাংলার রাজনীতি। মেয়রের পদত্যাগের সম্ভাবনাও মাথাচড়া দিয়ে উঠেছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তিনি জানান, মমতার নির্দেশে নিজের দায়িত্ব যেমন পালন করছিলেন তেমনটাই করে যাবেন তিনি।

[  এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামের ফলকে কালি! ]

এই পরিস্থিতিতেই আদালতে মেয়রের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানি চলল। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন মেয়রের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। বিচারক পুরো বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বিচারক বলেন, তার মানেই যে তাঁদের ফের ঘর সংসার করতে হবে এমনটা নয়। এদিন মেয়র নিজে যাননি। পরবির্তে তাঁর আইনজীবী আদালতকে জানায়, কোনওরকম সমঝোতাতেই যেতে রাজি নন মেয়র। তিনি বিচ্ছেদেই অনড়। মেয়রের আইনজীবীর পক্ষ থেকে রুদ্ধদ্বার কক্ষে শুনানির আবেদনও জানানো হয়েছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement