Advertisement
Advertisement
ফিরহাদ

সমস্ত দলের কাউন্সিলরই কলকাতার কো-অর্ডিনেটর, রাজধর্ম পালনে সিদ্ধান্ত ফিরহাদের

শহরের সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে মাইক্রোপ্ল্যানিং আরও কঠোরভাবে কার্যকর হবে।

Kolkata Mayor Firhad Hakim stuns critics by KMC move
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 9, 2020 8:40 am
  • Updated:May 9, 2020 8:40 am  

কৃষ্ণকুমার দাস: রাজধর্ম পালনে তিনি যে কতটা আন্তরিক ও বাস্তবধর্মী তা দলমত নির্বিশেষে কলকাতার ১৪৪জন প্রাক্তন কাউন্সিলরকেই নাগরিক পরিষেবায় পুরসভার ‘কো-অর্ডিনেটর’ করে বুঝিয়ে দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম বৈঠক শেষে শুক্রবার জানিয়ে দিলেন, “শহরের এই দুঃসময়ে, একটাই লক্ষ্য, মানুষের পাশে থাকা। সবাই মিলে করোনার মোকাবিলা করতে চাই, অসহায়দের সাহায্য তুলে দিতে চাই। তাই সমস্ত প্রাক্তন কাউন্সিলররা এখন কো-অর্ডিনেটর। প্রথম ও প্রধান কর্মসূচি করোনামুক্ত কলকাতা। মুখ্যমন্ত্রীর গাইডলাইন মেনে শহরের সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে মাইক্রোপ্ল্যানিং আরও কঠোরভাবে কার্যকর হবে।”

[আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর ইচ্ছা নেই রাজ্যের, টুইটে অভিযোগ কৈলাসের]

প্রতিটি ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটররা রোগী ভর্তির মতো সুপারিশ করতে পারলেও আবাসিক, আধার কার্ড বা আয়ের শংসাপত্র দিতে পারবেন না বলে পুরসভার খবর। দলগতভাবে বিরোধিতা করলেও প্রাক্তন হওয়ার পরেও এমন ক্ষমতা ও দায়িত্ব পাওয়ায় পুরসভার অধিকাংশ বাম ও বিজেপি কাউন্সিলর খুশি বলে স্বীকার করেছেন। করোনার জেরে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেও ভোট হওয়ায় তৃণমূল বোর্ডের মেয়াদ শেষ হতেই কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসাতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে বিরোধী বিজেপি ও বামেরা আপত্তি করেছে। বিষয়টি নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান,“হাওড়ার ক্ষেত্রে দেখেছি, আমলাদের দায়িত্ব দিয়ে ওয়ার্ডের বুথস্তরে মানুষের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। জনগনের প্রত্যাশা ও চাহিদা বুঝতে জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন বলেই মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় পুরোনো ১৪ জনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।” এদিন দুপুরে পুরসভার অধিবেশন কক্ষে প্রশাসকদের প্রথম বৈঠকে কাউন্সিলরদের কো-অর্ডিনেটর করার পাশাপাশি প্রাক্তন মেয়র পারিষদদের পুরোনো দায়িত্ব দিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন। প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যানদের বরো কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে। উত্তরের বরো-কে অর্ডিনেটররা অতীন ঘোষকে এবং দক্ষিণের দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেবাশিস কুমারকে রিপোর্ট করবেন। বেহালা ও গার্ডেনরিচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং শামসুজ্জামান আনসারিকে। ভারপ্রাপ্ত বোর্ড সদস্য থেকে বিরোধী নেত্রী সবারই গাড়ি ও অন্যান্য সুবিধা আগের মতই চালুর নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ।

Advertisement

এদিনের বৈঠকে পুরসভার কমিশনার ও দুই স্পেশাল কমিশনার, তিনজনকে প্রশাসক বোর্ডের আমন্ত্রিত সদস্য করা হল। বোর্ডের আহ্বায়ক হলেন পুরকমিশনার খলিল আহমেদ। ফিরহাদ জানিয়েছেন, “প্রতিদিন বিকেলে করোনা রিপোর্ট নিয়ে মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ ছাড়াও অতীন ঘোষ, কমিশনার ও বিশেষ কমিশনার, সিএমওএইচকে নিয়ে বৈঠক করা হবে। ওই রিভিউ বৈঠকে ঠিক হবে পরের দিন কোথায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” বর্ষা প্রায় আসন্ন তাই নিকাশী বিভাগের ছুটি বাতিল করে শহর জুড়ে জরুরিভিত্তিতে কাজে নামছে পুরসভা। ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংসে এবার নিকাশি ও দুই বাড়ির মাঝে সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড ছড়ানো হবে। সোমবার রাস্তার মেরামত নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ভারপ্রাপ্ত বোর্ড সদস্য রতন দে। এদিনই রাজ্যপালের কাছে বোর্ড নিয়োগের বিরোধিতা করে ডেপুটেশন দেন বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনাহারা। বলেন,“প্রাক্তন মেয়রকে নিযুক্ত করে সংবিধানকে অবমাননা ও ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা হয়েছে।” বিষয়টি নিয়ে পুরমন্ত্রী জানান,“কলকাতা হাই কোর্ট প্রশাসক বোর্ড বসানোর সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে কাজ চালাতে বলেছে। একমাস পর ফের আদালতে আমরা রিপোর্ট দেব, আবেদন করব।”

[আরও পড়ুন: কলকাতার বুকে খাসির বদলে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ! শুরু তদন্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement