Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভাঙল শ’খানেক গাছ, আগামী গ্রীষ্মে ছায়া পাবে কি কলকাতা?

বেলেঘাটা থেকে যাদবপুরের রাস্তায় বেসামাল গাছপালা দেখলে কে বলবে সামান্য ঝড়!

Kolkata May Face A Havoc Problem In Next Summer Due To Broken Trees
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 19, 2016 11:04 am
  • Updated:August 19, 2016 11:04 am  

অভিরূপ দাস: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জের৷ পুরসভার হিসাবে বুধবার ঝড়ের তাণ্ডবে উপড়ে গিয়েছে আশিটি গাছ৷ যার জেরে ছায়া কমল কলকাতার রাজপথে৷
মাত্র ৭০ কিলোমিটার ঝড়ের বেগে অক্সিজেনের এত ঘাটতি! সইতে পারবে তো শহরের মানুষ? চিন্তায় পরিবেশবিদরা৷ সাইক্লোন আয়লার তাণ্ডবেও উপড়ে গিয়েছিল আড়াইশো গাছ৷ তবে আয়লার গতিবেগ ছিল ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা৷ বুধবারের ঝড়ের দাপট সে তুলনায় ছিল অপেক্ষাকৃত কম৷
বেলেঘাটা থেকে যাদবপুরের রাস্তায় বেসামাল গাছপালা দেখলে কে বলবে সামান্য ঝড়! ফি বছর শহরে যত কালবৈশাখী হয়, এ বছর তার সিকিভাগও হয়নি৷ “ভাগ্যিস হয়নি৷” বুধবারের ঝড়ের পর এমনটাই বলছেন পরিবেশবিদরা৷ আরও খান চারেক ঝড়ে শহরের সবুজ আরও কমে যেত৷
পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, পরিকল্পনাহীন বৃক্ষ রোপণেই অকালে ঝরে গেল এত সবুজ৷ দেখা গিয়েছে, বুধবার যত গাছ পড়ে গিয়েছে, তার বেশিরভাগই লাগানো হয়েছে গত ২৫ বছরে৷ চটজলদি বেড়ে ওঠার জন্যই লাগানো হয়েছিল কৃষ্ণচূড়া, অশোক জাতীয় গাছ৷ কিন্তু এই ধরনের গাছ সামান্য ঝড়েই ভেঙে পড়ে৷ পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত-র কথায়, “তাড়াতাড়ি বাড়বে বলেই পুরসভা এই সমস্ত বৃক্ষ রোপণ করে৷ কিন্তু গাছ লাগানোর সময় উদ্ভিদবিদদের পরামর্শ নিলে এমনটা হত না৷” তাঁর পরামর্শ, “কোনও দিন শুনবেন না বট বা অশ্বথ জাতীয় গাছ সামান্য ঝড়ে ভেঙে পড়েছে৷ কিন্তু এই সমস্ত গাছ বড় হতে সময় লাগে বলে লাগানো হয় না৷” শুধু তাই নয় যত্রতত্র নগরায়নকেও দায়ী করেছেন পরিবেশবিদরা৷ শহরের বেশিরভাগ গাছের গুঁড়ি বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ স্বাভাবিক ভাবেই দুর্বল হয়ে গিয়েছে গাছের শিকড়৷ সুভাষবাবুর কথায়, “গাছের শিকড় মজবুত রাখতে মাটি দরকার৷ সিমেন্টে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে৷”
ছোটোখাটো ঝড় থেকে বাঁচতে পারে কোন গাছ? “বড় বড় পাতা, শীতের মরশুমেও যা ঝরে পড়ে না, এমন গাছেরই ক্ষমতা রয়েছে ঝড় ঠেকানোর৷ অন্যান্য গাছের তুলনায় এরা অক্সিজেনও বেশি দেয়৷” বলেছেন পরিবশেবিদ সুভাষ দত্ত৷ এত গাছ পড়ে যাওয়ায় চিন্তিত মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমারও৷ তাঁর কথায়, “শহরে পুরসভার হিসাবে আশিটি গাছ পড়েছে৷ ঝড় হলে গাছ পড়বেই৷ যেখানে যেখানে গাছ পড়েছে সে সমস্ত জায়গা চিহ্নিত করে ফের গাছ লাগাবে পুরসভা৷”
পুরসভার হিসাবে বুধবার সন্ধের ঝঞ্ঝায় প্রায় আশিটা গাছ উপড়ে গেলেও বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যাটা ১৪২৷ রাস্তার দু’ধারের গাছ বাঁচাতে আরও সচেতন হোক পুরসভা৷ এমনটাই চাইছেন পরিবেশবিদরা৷ সুভাষবাবুর আশঙ্কা, “আসছে গ্রীষ্মে যেন ছাঁয়া খুঁজতে মাথা কুটতে না হয়৷”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement