ছবি: প্রতীকী।
অভিরূপ দাস: করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট মেলেনি। স্রেফ এই কারণেই প্রবল অসুস্থতা সত্ত্বেও বৃদ্ধাকে ফেরাল হাসপাতাল। কার্যত বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন রোগী। গড়ফার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের ভূমিকা।
কলকাতার গড়ফার হালতুর বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা। বয়স ৬৭। জানা গিয়েছে, ১৫ এপ্রিল থেকে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। বর্তমান পরিস্থতিতে ঝুঁকি না নিয়ে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বৃদ্ধার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে না থাকায় থাকায় তাঁকে ভরতি নেওয়া হয়নি। বৃদ্ধাকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও একই সমস্যার মুখোমুখি হন তাঁরা। পরবর্তীতে বৃদ্ধাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে বাধ্য হন পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই ব্যবস্থা করা হয় অক্সিজেন দেওয়ার। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এরপর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পান পরিবারের সদস্যরা। জানতে পারেন, বৃদ্ধার শরীরে বাসা বেঁধেছিল মারণ ভাইরাস। সঙ্গে সঙ্গে দেহ সৎকারের জন্য স্বাস্থদপ্তরে ফোন করেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, শুক্রবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত চার স্বাস্থ্যদপ্তরে ফোন করলেও কোনও লাভ হয়নি। এমনকী পুরসভায় জানিয়েও প্রথমে কোনও সুরাহা মেলেনি। খবর দেওয়া হলেও ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরও সহযোগিতার হাত বাড়াননি বলেই অভিযোগ। ফলে প্রায় ১২ ঘণ্টা ঘরেই পড়ে থাকে বৃদ্ধার দেহ। দীর্ঘক্ষণ পর তা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের তরফে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যদপ্তরের ভূমিকা। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, গুরুতর অসুস্থদের হাসপাতালে ভরতি করতে হবে, তা সত্ত্বেও এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজ্যবাসীর মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.