ফাইল ছবি
গৌতম ব্রহ্ম: এনআরএসের পর এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে চূড়ান্ত নাজেহাল অবস্থা রোগী ও তাঁদের পরিবারের। বেলাইনে টিকিট করাকে কেন্দ্র করে হেনস্তার মুখে পড়তে হয় এক জুনিয়র চিকিৎসক ও হাউসস্টাফকে। তারপরই কর্মবিরতিতে চলে যান ক্ষুব্ধ জুনিয়ররা। বন্ধ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরিষেবাও।
ঘটনা বুধবার বেলা আড়াইটের। মেডিক্যাল কলেজের আউটডোর থেকে টিকিট করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ঝামেলা। অভিযোগ, এক জুনিয়র ডাক্তার এবং হাউসস্টাফ লাইন ভেঙে টিকিট করার চেষ্টা করেন। সেই সময়ই তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়ান কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন অন্যান্য জুনিয়র ডাক্তার ও নিরাপত্তারক্ষীরাও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আসে পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় ওই চিকিৎসককে। পরিচয় দেওয়ার পরও রেহাই মেলেনি। মারের চোটে চোখের নিচে ও কপালে কালসিটে পড়ে যায় ওই ডাক্তারের। হাতেও আঘাত পেয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা। সহকর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। তার জেরেই বেলা তিনটে থেকে বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের এমার্জেন্সি পরিষেবা। রোগীর আত্মীয়দের লম্বা লাইন পড়ে যায় জরুরি বিভাগের বাইরে। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের অবস্থানে অনড়।
এদিকে, জরুরি বিভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চূড়ান্ত নাজেহাল অবস্থা দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের পরিবারের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা। হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, কোনও পক্ষই এখনও পর্যন্ত লিখিত কোনও অভিযোগ জানাননি। এমনকী কর্মবিরতির ডাকও মৌখিকভাবেই জানানো হয়েছে। এবিষয়ে ইনটার্নদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর জুনে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়েছিল এনআরএসের জুনিয়র চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেন জুনিয়ররা। তাঁদের সমস্ত দাবি মেনে নিয়ে দীর্ঘ সাতদিন পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে অচলাবস্থা কাটে। এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে ভোগান্তির শিকার রোগীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.