রমেন দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুল, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে ফের আলোচনার কেন্দ্রে বাংলার শিক্ষাঙ্গন। এবার অধ্যক্ষকে কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ টালিগঞ্জের যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে (Jogesh Chandra Chaudhuri College) । কলকাতার (Kolkata News) ওই কলেজের অধ্যক্ষের অভিযোগ, ”কাজ করতে পারছি না। আমাকে হেনস্তা করা হচ্ছে বারবার।” এমনকী ‘হেনস্তার ভয়ে’ কলেজে আর যেতে চান না বলেও দাবি ওই অধ্যক্ষের।
ঠিক কী ঘটেছে আসলে? যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের দিবা বিভাগের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় (Pankaj Roy)। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-কে তিনি জানান, ”আমি কলেজে যেকোনও কাজ করতে গেলেই বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। অধ্যক্ষ হিসাবে সরকারি নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রেও বাধা আসছে। আমাকে হেনস্তার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বহুবার।” কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন অধ্যক্ষ? অধ্যাপক পঙ্কজ রায়ের দাবি, ”কলেজে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কেউ কেউ বলে দাবি করেন এমন অনেকেই রয়েছেন। আমি আসলেই জানি না ওঁরা কারা! একাধিক বহিরাগত, যাঁরা কলেজের কেউ নন, এঁরাই মূলত এসব করছেন।” তাঁর আরও দাবি, ”আমি আর কাজ করতে চাই না! স্বেচ্ছাবসর নেব। কলেজের টিআইসিকে জানিয়ে দিয়েছি। ২৯ সেপ্টেম্বর একটি বৈঠকে যোগ দেব। কিন্তু কলেজে এই পরিবেশে কাজ করা কঠিন। আর কলেজে যেতেও চাইছি না।”
শিক্ষাঙ্গনে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্যে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন খোদ অধ্যক্ষ! এই খবর চাউর হতেই মুখ খুলেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। অধ্যক্ষের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-কে তিনি জানান, “যে অভিযোগ উনি অর্থাৎ ওই অধ্যক্ষ করছেন, সেটা কলেজের অধ্যক্ষ নাকি বিজেপির নেতা অথবা মুখপাত্র হিসাবে করেছেন বুঝতে পারছি না। উনি বিজেপির (BJP Bengal) মুখপাত্রের মতোই কথা বলছেন হয়তো! মনেহয়, তাঁর দল কোনও বড় অফার দিয়েছে তাই এসব বলছেন।”
যদিও কলেজে আর আসছেন না ওই অধ্যক্ষ, এর উত্তরে তৃণাঙ্কুর বলেন, ”অধ্যক্ষ হিসাবে এমন অভিযোগ করলে খতিয়ে দেখব। যদি কোনও গাফিলতি থাকে আমাদের তরফে, অবশ্যই দেখব। আমি বলব, এসব না করে কলেজকে এগিয়ে নিয়ে যান শিক্ষক এবং অধ্যক্ষ হিসাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.