অভিরূপ দাস: সাতানব্বইয়ের অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি ভুলতে অভাবনীয় উদ্যোগ। বইমেলায় বন্ধ হচ্ছে খাবারের স্টল। গরম খাবার খেতে হলে যেতে হবে পাশের সেন্ট্রাল পার্ক সুইমিং পুলে। ব্যাপারটা ঠিক কী?
মঙ্গলবার কলকাতা আর্ন্তজাতিক বইমেলায় গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন মেলার এসবিআইট অডিটোরিয়ামে পুরশ্রী উদ্বোধন করে ফিরহাদ বলেন, “ময়দানের ভয়ংকর আগুন এখনও স্মৃতিতে টাটকা। সেই আতঙ্কটা এখনও মাথার মধ্যে ঘোরে। গিল্ড কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি, আর বইমেলায় খাবারের স্টল নয়। সুইমিং পুল চত্ত্বরটা খুলে দেওয়া হচ্ছে। ওখানেই খাবারের স্টলগুলো থাক।”
১৯৯৭ সালে খাবারের স্টল থেকেই পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিল কলকাতা বইমেলা (Kolkata International Book Fair)। এবারও বইমেলায় গোটা বিশেক খাবারের স্টল। ফিস ফ্রাই, চিকেন কাটলেট ভাজা হচ্ছে কড়াইয়ে। তার সামনে উপচে পড়ছে ভিড়। সে আগুন যাতে মেলা প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে না পরে তা ঠেকাতেই নতুন বন্দোবস্ত। মন্ত্রীর এই মতামতকে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছে গিল্ড। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বইমেলায় গোটা বিশেক খাবারের স্টল আছে। যারা মিষ্টি, আইসক্রিম, দই বিক্রি করছেন তাদের আগুন জ্বালানোর প্রশ্ন নেই। কিন্তু বিরিয়ানি বা ভাজাভুজির ক্ষেত্রে আগুন জ্বালাতেই হয় বিক্রেতাদের। কারণ ক্রেতারা তা গরম খেতেই পছন্দ করেন। অনেকেই চা, কফিও বানিয়ে বিক্রি করছেন মেলায়। এবার সমস্ত খাবারের স্টলই চলে যাবে সেন্ট্রাল পার্ক সুইমিং পুল প্রাঙ্গণে। কলকাতা বইমেলার এক নম্বর গেটের পাশেই এই সুইমিং পুল। বইমেলা থেকে এই সুইমিং পুলে প্রবেশের জন্য একটি গেট রয়েছে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই গেট খুলে দেওয়া হবে। শুধু এবার নয় প্রত্যেকবার সুইমিং পুল প্রাঙ্গণেই বসবে খাবারের স্টল। তিনি বলেন, গড়িয়া, যাদবপুর, বাঁশদ্রোণী, পাটুলি ছাড়াও পূর্ব কলকাতার বেহালা এমনকী হাওড়া থেকেও অগুনতি বাস আসছে বইমেলা প্রাঙ্গণে। যার জেরে সহজেই মানুষ পা রাখতে পারছেন কলকাতা আর্ন্তজাতিক পুস্তক মেলায়। এছাড়াও এবারই প্রথম বইমেলা আসার জন্য ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সুবিধা পাচ্ছেন আমজনতা। ফিরহাদ হাকিমের কথায়, ‘‘ভিড়ও তাই বাড়ছে উত্তরোত্তর।’’