ফাইল ফটো
শুভঙ্কর বসু: কোন পদ্ধতিতে বেসরকারি স্কুলগুলিতে ফি ছাড় দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করতে তিনটি প্রস্তাব বাছাই করেছে কলকাতা হাই কোর্ট (kolkata high court)। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার জানিয়েছে, এই তিনটি প্রস্তাবের মধ্যে থেকে একটি প্রস্তাব বা স্কিমকে মান্যতা দেওয়া হবে। এছাড়াও এই মামলায় সামান্য শুনানি বাকি রয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে যা শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বেঞ্চ। এরপরই আদালত এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২০ জুলাই বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। যেখানে বলা হয়েছিল, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্কুলগুলিতে টিউশন ফি-সহ কোনও ধরনের ফি বৃদ্ধি করা চলবে না। কোনও অভিভাবক ফি দিতে দেরি করলে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে হবে। বাস, লাইব্রেরি, কম্পিউটার, ল্যাব ও স্পোর্টস-সহ একাধিক ফি যা স্কুলগুলি নিয়ে থাকে এই লকডাউন পিরিয়ডে স্কুল বন্ধ থাকার জন্য সে সব ফি নেওয়া যাবে না।
ওই নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ করা হয়েছিল, চলতি শিক্ষাবর্ষে নতুন কোনও ধরনের ফি যুক্ত করা চলবে না। ফি না দিতে পারলেও কোনও ছাত্রকে অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। রাজ্যের এই নির্দেশিকার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই আদালত ফি ছাড় সংক্রান্ত কোনও স্কিম বলবৎ করতে চাইছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে কোন স্কুলে কত শতাংশ ফি ছাড় দেওয়া হবে, তা শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত কমিটির হাতে ছেড়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে এই পদ্ধতিতে ফি ছাড়ের অঙ্ক নির্ধারণ করতে সমস্যা রয়েছে। অনেকেরই বক্তব্য, যে সমস্ত অভিভাবকেরা এই কমিটিতে থাকবেন তাদের ক্ষেত্রে ফি ছাড়ের বিষয়ে স্বতন্ত্র মতামত দানে অসুবিধা থাকতে পারে। এই বক্তব্য জানার পর আদালত জানিয়েছিল, ফি ছাড়ের ক্ষেত্রে মামলায় অন্তর্ভুক্ত ১৪৫টি স্কুল একটি সার্বিক নীতি বা কাঠামো মানতে রাজি হয়েছে। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে তিনটি বিকল্প স্কিম তাদের জানানো হবে। সেখান থেকে একটি বাছাই করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.