গোবিন্দ রায়: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় নয়া মোড়। স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের (Kolkata High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। গত ফেব্রুয়ারিতে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বহাল রাখার যে সিদ্ধান্ত স্পিকার নিয়েছিলেন, সেটা কার্যত খারিজ হয়ে গেল। ফলে মুকুলের বিধায়ক থাকা নিয়ে ফের সংশয় তৈরি হয়ে গেল।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, মুকুল রায় (Mukul Roy) কোনওদিন দলবদলই করেননি। বিজেপিতেই (BJP) রয়েছেন তিনি। স্পিকার দাবি করেছিলেন, অভিযোগকারীরা মুকুলের দলবদলের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ দিতে পারেননি। কিন্তু এদিন বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, গত বছরের ১১ জুন যে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটাকে প্রমাণ হিসাবে ধরে নিয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছে কলকাতা হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের নভেম্বরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) তৎকালীন সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। কয়েকবছর পর তাঁর ছেলে শুভ্রাংশুও দলবদল করেন। ২০২০ সালে দলের হয়ে ভাল কাজ করার পুরস্কার হিসেবে বিজেপিতে (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান মুকুল। একুশের বিধানসভা ভোটে প্রায় প্রচার ছাড়াই কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জেতেন মুকুল রায়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পরপরই তিনি নিজের পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে যান। ২০২১ সালের ১১ জুন তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের উত্তরীয় পরে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন তিনি।
মুকুলের এই ঘর ওয়াপসির পরই তাঁর বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। যদিও বিধানসভায় মুকুলের আইনজীবীরা বরাবরই দাবি করে এসেছেন, তিনি বিজেপির বিধায়ক। কখনও দলবদল করেননি। এর মধ্যে আবার শাসকদলে বদান্যতায় PAC’র চেয়ারম্যান পদও যায় মুকুলের হাতেই। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও আবেদন করে বিজেপি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বিজেপির সব অভিযোগ খারিজ করে মুকুলের বিধায়ক পদ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্পিকার। এবার সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ এল হাই কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.