শুভঙ্কর বসু: করোনার জেরে শারীরিক কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন চিটফান্ড সংস্থা এমপিএস কর্তা প্রমথনাথ মান্না। পত্রপাঠ সেই আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। আপাতত তাঁকে আর জি কর মেডিকেল কলেজে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর বিশেষ বেঞ্চ। এছাড়াও পৈলান গ্রুপের কর্ণধার অপূর্ব সাহা ও পিনকন কর্তা মনোরঞ্জন রায়ের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
পয়লা এপ্রিল জামিনের আবেদন জানিয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রমথনাথ মান্না। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তাঁর হয়ে মামলার শুনানিতে তাঁর কন্যা কৃষ্ণা মান্না বলেন, প্রমথনাথ মান্না একজন বয়স্ক ব্যক্তি। তিনি ডায়াবেটিসের রোগী। এই পরিস্থিতিতে জেলে থাকলে তাঁর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক। আবেদনের প্রেক্ষিতে সেদিন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমথনাথ মান্নার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় হাই কোর্ট। এদিন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তরফে সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। আদালত সেই রিপোর্ট দেখার পর প্রমথনাথ মান্নাকে নার্সিংহোমে ভরতি হওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু তাঁর কন্যা জানান, এই মুহূর্তে তাঁর নার্সিংহোমে ভরতি হওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই। এরপরই আদালত তাকে রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানে আর জি কর মেডিকেল কলেজে ভরতি করার নির্দেশ দেয়।
শুধু প্রমথনাথ মান্না নন। এদিন জামিনের আবেদন জানিয়ে বিশেষ বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পিনকন কর্তা মনোরঞ্জন রায় ও চিটফান্ড সংস্থা পৈলান গ্রুপের কর্ণধার অপূর্ব সাহা। তাঁদের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর বিশেষ বেঞ্চ। যদিও করোনার কারণে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হলে ফের তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে বেঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.