শুভঙ্কর বসু: ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের শিশুদের মধ্যে ৪৩ জনের অবস্থা ‘হায়ার রেফারেল’। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের অনাথ শিশুদের স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিল হাই কোর্ট। সেই সূত্রেই উঠে এল পরিযায়ী শ্রমিকদের শিশুদের প্রসঙ্গ।
এ বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এবং শিশু ও নারীকল্যাণ দপ্তরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ৪ জুন পর্যন্ত ২৯৬৫৮ পরিযায়ী শ্রমিকের শিশুর মধ্যে মোট ৫৩৬০টি শিশুকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এবং ২৪২৯৮টি শিশু রয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। এদের মধ্যে ৩০০৫টি শিশুর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ও ৮৪৩ জনের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৪৩টি শিশুর পরিস্থিতি ‘হায়ার রেফারাল’ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। গত কয়েক সপ্তাহে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফিরেছে কয়েক হাজার শিশু। এখনও পর্যন্ত এদের কত জনের শরীরে করোনা থাবা বসিয়েছে? কী অবস্থায় আছে তাঁরা। দু’বেলা দু’মুঠো খাবারই বা জুটছে কী করে? শরীর খারাপ হলে চিকিৎসারই বা কী বন্দোবস্ত হচ্ছে? এসব জানতে চেয়ে এবার রাজ্য সরকারের কাছে তথ্য তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট।
এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে শুনানিতে উপস্থিত স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব রূপম বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করেছে, প্রায় ৩০ হাজার শিশুর মধ্যে কেন মাত্র তিন হাজার শিশুর করোনা পরীক্ষা করা হল? বাকিদের ক্ষেত্রে কেন এই পরীক্ষা করা হবে না? পাশাপাশি যে সংখ্যক শিশুর পরীক্ষা হয়েছে তাদের মধ্যে কতজন করোনা পজিটিভ এবং তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা কেন রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি? এক্ষেত্রে ‘হায়ার রেফারাল’ এবং ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তাছাড়া ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনের পরিকাঠামো এবং শিশুদের দেখভালের জন্য সেখানে কত সংখ্যক চিকিৎসক রাখা হয়েছে সে বিষয়েও রিপোর্টে কিছু নেই কেন? সমস্ত তথ্য জানিয়ে আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে রাজ্যকে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.