শুভঙ্কর বসু: কলকাতা হাই কোর্টে (Kolkata High Court) সশরীরে উপস্থিত থাকার শুনানি নিয়ে জারি রইল অচলাবস্থা। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বৈঠকের পরও মিলল না সমাধান সূত্র। ফলে শুক্রবার এই নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেল না। শীঘ্রই এই ব্যাপারে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানানো হয়।
লকডাউনের ৮০ দিন পর বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট খোলার প্রথম দিনেই ধাক্কাটা আসে আইনজীবীদের (Lawyears) তরফ থেকে। এদিন আইনজীবীদের ৩টি সংগঠনই এজলাসের শুনানিতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে আপত্তি জানায়। সংগঠনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গুটিকয় আইনজীবী এদিন কোর্ট চত্বরে হাজির ছিলেন। তবে অনুপস্থিত ছিলেন বেশিরভাগ আইনজীবীরাই। সংগঠনের বিরুদ্ধে গিয়ে কোর্ট রুমে হাজির হওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি অনেকেই। এমনকি যাঁরা ছিলেন তাঁরাও পরে দ্বিধায় পড়ে যান। এমতাবস্থায় শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ নিজের চেম্বারে আইনজীবীদের তিনটি সংগঠন বার অ্যাসোসিয়েশন, বার লাইব্রেরি এবং ইনকর্পোরেটেড ল সোসাইটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও বরফ গলল না। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকের পর অধরাই থেকে গেল সমাধান সূত্র।
সূত্রের খবর, সেখানে স্বশরীরে শুনানি চালু হলে কি ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে সে ব্যাপারে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা। পাশাপাশি তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতি ও তাঁদের নানা অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। যেমন- রাজ্যে উত্তোরোত্তর বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে স্বশরীরে শুনানিতে উপস্থিত থাকার বিষয়ে আতঙ্কিত আইজীবীরা। রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থা এখনও পুরোদমে স্বাভাবিক নয়। ফলে সশরীরে শুনানিতে যোগ দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই একযোগে আইনজীবী সংগঠনগুলি তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়গুলি বিবেচনা করা হবে বলেও আইনজীবীদের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
বৈঠক চলাকালীন বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে ধানধানিয়া জানান, “লোকাল ট্রেন চালু না হলে বড় অংশের আইনজীবী আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে স্বশরীরে শুনানি চালুর উদ্দেশ্যটাই ব্যর্থ হবে।” আইনজীবীদের হতাশ না করে শীঘ্রই এই ব্যাপারে হাই কোর্ট কর্তৃপক্ষ নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলে জানা যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.