শুভঙ্কর বসু: বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরক্ষায় এবার কমিটি গঠন করল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেয়। তাঁরা জানান, এটা কোনও ছোট মামলা নয়। বিশ্বভারতী আইন ১৯৫১ বলে রাষ্ট্রপতি এখানকার পরিদর্শক তাই তার ঐতিহ্য রয়েছে। তা সকলকেই মাথায় রাখতে হবে। সে কারণেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হিসাবে ভারগ্রহণ করেছে হাই কোর্ট। তাই কমিটি গঠন করা হল। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার উভয়ই কমিটিকে সাহায্য করবে।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিটিতে রয়েছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা দু’জনেই বিশ্বভারতীর শিক্ষা সমিতির সদস্য ছিলেন। এছাড়া অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলও কমিটিতে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য এবং স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য মধ্যস্থতা এবং সামঞ্জস্য রক্ষারই মূলত কাজ করবে এই কমিটি। বিশ্বভারতীর সমস্ত কাজকর্ম দেখভাল করবেন কমিটির সদস্যরা। এবার থেকে বিশ্বভারতীতে কোনও নির্মাণ, পুরনো কোনও নির্মাণ ভাঙা, সংস্কার, মূর্তি সরানো সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এই কমিটির পরামর্শ ছাড়া করা যাবে না। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার উভয়কেই এই কমিটিকে সাহায্য করতে হবে।
কলকাতা হাই কোর্ট (Kolkata High Court) মনে করে বিশ্বভারতীর নিজের জমিকে রক্ষা করা জাতীয় কর্তব্য। তাই ভাঙা পাঁচিলের অংশ-সহ বিশ্বভারতীর আওতাধীন যেকোনও জমি সুরক্ষিত রাখতে তার দিয়ে ঘেরা যেতে পারে। তবে ওই কাজ হাই কোর্টের তৈরি কমিটির তত্ত্বাবধানেই হবে। পাঁচিল ভাঙা সংক্রান্ত যেসব অভিযোগ রয়েছে সেগুলির আর কোনও কার্যবিধি করতে পারবে না পুলিশ। তবে বিশ্বভারতী চত্বরে আঁটসাঁট নিরাপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব থাকবে পুলিশের কাঁধেই। পাঁচিল নিয়ে সিভিল কোর্টে যে সমস্ত মামলা আছে সেগুলি আর কার্যকর হবে না। সবই খতিয়ে দেখবে হাই কোর্টের তৈরি করা চার সদস্যের ওই কমিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.