স্টাফ রিপোর্টার: সাংগঠনিক দক্ষতা কিংবা জনপ্রিয়তার আড়ালে অনেকসময়ই চাপা পড়ে যায় রাজনৈতিক নেতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা। বিষয়টি নিয়ে সেভাবে মাথা ঘামান না কেউই। কিন্তু, কোনও রাজনৈতিক নেতা যদি ভোটে দাঁড়াতে চান, তাহলে নির্বাচনী হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতাও উল্লেখ করতে হয়। সোজা কথায়, প্রার্থী কতদূর পড়াশোনা করেছেন, তা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হয়। হলফনামায় যদি ভুল তথ্য দেওয়া হয়, তাহলে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ঠিক যেমনটা ঘটেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে। কলকাতা হাই কোর্টকে তিনি জানিয়েছেন, পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা নয়, ঝাড়গ্রাম আইটিআই কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি। আইটিআই কলেজের শংসাপত্র আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
[‘ভোটের দিন অচেনা কাউকে দেখলে পালিশ করে দিন’, দিলীপের মন্তব্যে বিতর্ক]
শুধুমাত্র বিজেপির রাজ্য সভাপতি নন, দিলীপ ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের বিধায়কও বটে। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে খড়গপুর সদর কেন্দ্র থেকে জনপ্রিতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি। দিলীপ ঘোষের কাছে হেরে যান ওই কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের কংগ্রেস বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহনপাল ওরফে চাচা। কিন্তু, নির্বাচনী হলফনামায় বিজেপি বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটি বিচারধীন প্রধান বিচারপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত জানিয়েছে, হলফনামায় দেওয়া তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে, দিলীপ ঘোষের শান্তির হতে পারে। কিন্তু, বিজেপি রাজ্য সভাপতি যদি শংসাপত্র আদালতে জমা দেন, তাহলে মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। দিলীপ ঘোষ হাই কোর্টকে জানিয়েছিলেন, পলিটেকনিকে ডিপ্লোমা নয়, ঝাড়গ্রাম আইটিআই কলেজ থেকে পাশ করেছেন তিনি। তাই খড়গপুরের বিধায়ককে ঝাড়গ্রাম আইটিআই কলেজ থেকে পাওয়া শংসাপত্রটি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোর্তিময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
[মহেশতলায় পদ্ম প্রতীকে প্রার্থী কি রাজকমল? জল্পনা গেরুয়া শিবিরে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.