শুভঙ্কর বসু: বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) ফোনে খুনের হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দলেরই নেতা তথা গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া চললেও আপাতত নিম্ন আদালতে বিচারপর্বে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট (Kolkata High Court)। ঘটনায় আউসগ্রাম থানার কাছে কেস ডায়েরি তলব করেছেন বিচারপতি রাজশেখর মন্থা। আগামী ২৬ নভেম্বরের আগে আউসগ্রাম থানার ওসিকে এই কেস ডায়েরি জমা করতে হবে।
গুসকরার ইটাচাঁদা এলাকার বাসিন্দা, তৃণমূল কর্মী শেখ সুজাউদ্দিন আউশগ্রাম থানায় নিত্যানন্দবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে খুনের হুমকি দিয়ে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেছেন নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। এলাকায় নিতাই নামে জনপ্রিয় নিত্যানন্দবাবুর সে রকম কথাবার্তার একটি অডিও-বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তাতে অনুব্রতবাবুর প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে দাবি ছিল সুজাউদ্দিনের।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই নিত্যানন্দবাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেছেন নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। যদিও গ্রেপ্তারির পর নিত্যানন্দবাবু দাবি করেছিলেন, অনুব্রতবাবু স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তাঁর কাছে ২০ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন। তিন-চার মাসের মধ্যে শোধ করার কথা থাকলেও তা করেননি। এখন অস্বীকার করছেন। টাকা চাওয়ার জন্য তাঁকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য টাকা ধার নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। সুজাউদ্দিনের দায়ের করা ওই অভিযোগ খারিজের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আপাতত জামিনে মুক্ত নিত্যানন্দবাবু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.