Advertisement
Advertisement

Breaking News

রবিনসনকাণ্ডের ছায়া ট্যাংরায়, তিনদিন ধরে মায়ের মৃতদেহ আগলে বসে তরুণী

ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

Kolkata: Girl was living with her mother's dead body for 3 days in Tangra | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:June 27, 2021 1:03 pm
  • Updated:June 27, 2021 1:31 pm  

অর্ণচ আইচ: রবিনসন কাণ্ডের ছায়া এবার ট্যাংরায়। তিনদিন ধরে মায়ের মৃতদেহ আগলে বসে রইলেন মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী। শেষমেশ রবিবার পুলিশ এসে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে। এমন ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম কৃষ্ণা দাস। তাঁরা তিন মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবে আরেক মেয়ে সোমা দাস থাকতেন মায়ের সঙ্গেই। কৃষ্ণা দাসের স্বামী রেলকর্মী ধীরেন দাসও বাড়ি প্রায় আসেন না বললেই চলে। স্থানীয়দের দাবি, ট্যাংরার শীল লেনের ওই বাড়িতে মায়ের সঙ্গে শুধু সোমাকেই দেখা যেত। মানসিক ভারসাম্যহীন সোমা কাউকেই বাড়িতে ঢুকতে দিতেন না। বাইরের কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই চিৎকার করতেন। জিনিসপত্র, বাসন ইত্যাদি ছুঁড়ে মারতেন। তাই তাঁদের বাড়িতে খুব একটা যাতায়াত ছিল না কারওরই। ফলে কৃ্ষ্ণা দাসের মারা যাওয়ার বিষয়টি অজানাই ছিল এলাকার বাসিন্দাদের কাছে। মেয়েও এনিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দূরত্ব ভুলে BJP’র সঙ্গে ফের ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছেন রাজীব, জোড়া চিঠি পাঠালেন নেতৃত্বকে]

কিন্তু এদিন সকালে শীল লেনের ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। আর তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ঘরের ভিতর থেকে কৃষ্ণা দাসের মৃতদেহ উদ্ধার করে। সেই সময় মায়ের পচন ধরা দেহের পাশেই বসেছিলেন সোমা দাস। জানা যায়, তিনদিন আগেই মায়ের মৃত্যু হয়েছিল। মানসিক ভারসম্যহীন বলেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন সোমা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, ময়নাতদন্তের পরই তা পরিষ্কার হবে। কৃষ্ণা দাসের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে প্রায় ছ’মাস ধরে দিদির মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন পার্থ দে। যে ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা কলকাতা। এদিনের ট্যাংরার ঘটনায় সেই স্মৃতিই ফের উসকে গেল।

[আরও পড়ুন: মৃত্যুর সময় অভিব্যক্তির ছবি চড়া দামে বিক্রির জন্য খুন? মালদহ হত্যাকাণ্ডে নয়া সন্দেহ পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement