অর্ণব আইচ: পুজো শনিবার। তবু এই বছর তিন দিন আগেই মণ্ডপে আসছেন গণেশ ঠাকুর (Ganesh Idol)। তাই আগামী মঙ্গল ও বুধবার থেকেই বড় গণেশের উপর নজর থাকবে পুলিশের।
বছর তিনেক আগে বড় গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের সময় ঘটেছিল বিপর্যয়। মধ্য কলকাতার (Kolkata) নিউ মার্কেটের একটি ক্লাব গণেশ পুজোর আয়োজন করে। প্রতিমার উচ্চতা ছিল কুড়ি ফুটের উপর। বিসর্জনের সময় গঙ্গার ঘাটের কাছে রেলের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ওই বড় প্রতিমা। তাতেই মৃত্যু হয় ক্লাবের তিনজন কর্মকর্তা ও সদস্যের। আহত হন ৬ জন। এই ঘটনার পর থেকেই সতর্ক হয়েছে পুলিশ। সাজসজ্জা-সহ যাতে প্রতিমার উচ্চতা কোনওমতেই ১৮ ফুটের বেশি না হয়, সেদিকে রাখা হচ্ছে নজর। তবে পুলিশের মতে, এই বছর করোনা আবহে হয়তো অনেকেই গণপতির ছোট প্রতিমা পুজো করবেন। সাধারণত পুজোর একদিন আগেই মণ্ডপে নিয়ে আসা হয় গণেশ প্রতিমা। কিন্তু এই বছর ২২ আগস্ট গণেশ পুজো। তার আগে দু’দিন, অর্থাৎ ২০ ও ২১ আগস্ট লকডাউন। ফলে এই দু’দিন কোনওমতেই কুম্ভকারের ঘর থেকে প্রতিমা নিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই বেশিরভাগ গণেশ পুজোর উদ্যোক্তা ১৮ অথবা ১৯ আগস্ট প্রতিমা নিয়ে আসবেন মণ্ডপে। অনেকে আবার ২২ তারিখ ভোরেও মণ্ডপে আনতে পারেন গণেশ প্রতিমা।
তবে এই বছর পুজো উদ্যোক্তারাও জোর দিচ্ছেন যাতে প্রত্যেক দর্শনার্থী মাস্ক পরে মণ্ডপে আসেন। দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের রাখাল মুখার্জী রোডের গণেশ পুজোর উদ্যোক্তা গোপী ঠক্কর জানান, তারা ১৯ তারিখে গণেশ প্রতিমা নিয়ে আসবেন মণ্ডপে। যদি কোনও দর্শনার্থী মাস্ক না পরে পুজো দেখতে আসেন, তবে পুজো উদ্যোক্তারাই তাঁদের মাস্ক দেবেন। সঙ্গে দেবেন স্যানিটাইজারের শিশিও। মধ্য কলকাতার পোস্তা অঞ্চলের এক পুজো উদ্যোক্তা জানান, এই বছর গণেশ পুজোর দিন চারেক আগে থেকে বাজার করতে হবে তাঁদের। শুধু পুজোর দিন কিনতে হবে মিষ্টি। নাহলে একদিনে পুজোর কাজ শেষ করতে পারবেন না।
আগামী ১৯ তারিখ যাতে উত্তরের কুমোরটুলি বা দক্ষিণের পোটোপাড়ায় গণেশ প্রতিমা কেনার সময় ভিড় না হয় ও পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিমা কেনার সময় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখেন সে দিকেও নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.