সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমের নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি৷ শিলচর বিমানবন্দরে বাধা দেওয়া হয় তৃণমূল প্রতিনিধিদের৷ রীতিমত হেনস্তা করা হয় বিধায়ক মহুয়া মৈত্র, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও মমতাবালা ঠাকুর-সহ প্রতিনিধি দলের প্রত্যেককেই৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার বিপাকে পড়তে চলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল৷ হেনস্তার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পথে তৃণমূল৷ সর্বানন্দ সোনওয়ালের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের করলেন তৃণমূল এক বিধায়ক ও দুই সাংসদ৷ বিমানবন্দর থানায় এফআইআর দায়ের করলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও মমতাবালা ঠাকুর৷ বিধায়ক মহুয়া মৈত্র আলিপুর থানায় অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও একটি পৃথক এফআইআর দায়ের করেন৷
জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া প্রকাশ নিয়ে নাগরিক কনভেনশনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই শিলচরে যান তৃণমূলের ৬ সাংসদ, ১ বিধায়ক ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দুপুর ২টোয় বিমান থেকে নামার পর তাঁদের আটকে দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল প্রতিনিধি দলে থাকা বিধায়ক মহুয়া মৈত্র, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও মমতাবালা ঠাকুর৷ তাঁদের কাউকেই বিমানবন্দর থেকে বেরোতে দেওয়া হয়নি৷ শিলচর বিমানবন্দরে প্রায় ১৭ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় তাঁদের৷ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিমানবন্দরেই আটকে ছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানান, এদিন সকালে পুলিশের কাছে ফের একবার শিলচরে যেতে দেওয়ার অনুরোধ জানান তৃণমূল প্রতিনিধিরা। তবে তা গ্রাহ্য হয়নি। এমনকি, গুয়াহাটিতে যেতেও তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শিলচর বিমানবন্দরে প্রায় ১৭ ঘণ্টা আটকে থাকার পর সকালের বিমান ধরে কলকাতায় পৌঁছন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের চার সাংসদ ও এক বিধায়ক। তারপর বিকেলের দিকে হেনস্তার অভিযোগে অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি এফআইআর দায়ের করেন বিধায়ক মহুয়া মৈত্র, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও মমতাবালা ঠাকুর৷
গত সোমবার অসমে নাগরিকপঞ্জির খসড়া প্রকাশ হয়৷ ওই তালিকা থেকে বাদ যায় প্রায় চল্লিশ লক্ষ মানুষের নাম৷ তারপর থেকেই চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ৷ এর আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে অসম সরকার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.