Advertisement
Advertisement

Breaking News

Durga Puja

পিতৃপক্ষেই মায়ের বোধন, করোনা আবহে দাস বাড়িতে শুরু দুর্গাপুজো

জানেন কেন পিতৃপক্ষে মায়ের আরাধনা হয়? দেখুন ভিডিও।

Kolkata Durga Puja Das Bari West Bengal Puja 2020 Corona Pandemic

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:September 11, 2020 8:51 pm
  • Updated:September 12, 2020 6:28 pm  

সুলয়া সিংহ: করোনা বাধা মানেনি শরৎ। সে হাজির হয়েছে নিজের সময় মতোই। কলকাতা থেকে শহরতলির দিকে পা বাড়ালেই রাস্তার দু’ধারে নজরে পড়ছে সারি সারি কাশ ফুল। নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ জানান দিচ্ছে মা আসছেন। করোনা (Coronavirus) ভুলে সেই অপেক্ষাতেই দিন গুনছে বাঙালি। কিন্তু ট্যাংরার শীল লেনের দাস বাড়ির ছবিটা বর্তমানে একেবারে অন্যরকম। কারণ এই বাড়িতে পৌরাণিক প্রথা মেনে পিতৃপক্ষের কৃষ্ণ নবমীতেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো (Durga Puja)।

শুক্রবার থেকেই ধুমধাম করে শুরু মায়ের আরাধনা। গত ১২ বছর ধরে এভাবেই কৃষ্ণ নবমীতে পুজো হয়ে আসছে দাস বাড়িতে। এবার মহালয়ার প্রায় একমাস পর পুজো। তাই রঘুনন্দনের দুর্গাউৎসব তত্ত্ব মেনে দেবী এবার এ বাড়িতে অনেকটা সময়ই থাকবেন। দাস পরিবারের দুই সন্তান। দিদি মৌমিতা দাস পেশায় চিকিৎসক এবং ভাই প্রসেনজিৎ দাস পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তাঁরাই পুজোর সমস্ত আয়োজন করেন। প্রসেনজিৎবাবু বলছিলেন, “শুক্রবারই হল দেবীর বোধন। মহালয়া পর্যন্ত রোজ পুজো-অঞ্জলি সবই হবে। তারপর মলমাস পড়ে যাওয়ায় সেই সময়টা হবে নিত্যপুজো। আবার ষষ্ঠীতে আমন্ত্রণ অধিবাস। তারপর সপ্তমী থেকে নবমী মহাস্নান, ১৬০০ উপাচারে দেবীপুজো, বলিদান এবং হোমের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় পুজো। দশমীতে বিজয়া। প্রতিদিন মা’কে অন্নভোগ দেওয়া হলেও রীতি মেনে দশমীতে অন্নভোগে কেবল পান দেওয়া হয়। কৃষ্ণ নবমী থেকে শুক্ল নবমী পর্যন্তই মা এখানে বিরাজমান।”

Advertisement

Durga-Puja

কিন্তু পিতৃপক্ষে মায়ের আরাধনা কেন? প্রসেনজিৎবাবুর উত্তর, “দুর্গা মায়ের নাম তো রোজই আমরা নিয়ে থাকি। তাছাড়া শাস্ত্র মেনেই আমরা সমস্ত আয়োজন করি। মায়ের পুজোর তো নানা রীতি চালু আছে। আমরা বৃহৎনন্দিকেশ্বর প্রথা মেনেই সনাতন সংস্কৃতিকে ধরে রেখে মায়ের আরাধনা করি।” এ নিয়ে ১৩ বছর প্রতিমা পুজো হচ্ছে দাস বাড়িতে। এর আগে ঘট পুজোর প্রচলন ছিল। তবে করোনার কোপে পুজোতেও কাটছাঁট করতে হয়েছে।

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তার পরও হুঁশ ফিরছে না, ফের দুর্গাপুজো নিয়ে ভুয়ো পোস্ট করে ধৃত ২]

এবার দেবীকে প্রসাদে গোটা ফল দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ঢাকের ব্যবস্থাও এবার করা হয়নি। বদলে ঢাকের বাদ্দির মিউজিক চালিয়েই বরণ করা হচ্ছে মাকে। মন্দির চত্বরও প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। করোনার জেরে প্রতিবারের মতো এবার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাড়ির সদস্যরাও আসতে পারেননি। তবে অতিমারী উপেক্ষা করেই যে উমা বাপের বাড়ি ফিরছে, সেই আগমনীর সুর বাজিয়ে দিল দাসি বাড়ি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement