Advertisement
Advertisement
সংক্রমিত এলাকা

৪০০ ছাড়াল কলকাতার আক্রান্তের সংখ্যা, সতর্কতা জারি মহানগরের ‘সুপার হটস্পট’গুলিতে

হোম কোয়ারেন্টাইনেও দৈনিক নজরদারি পুরসভার।

Kolkata cross 400in Corona infection, infected lived in conjested place
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 29, 2020 8:56 am
  • Updated:April 29, 2020 8:56 am  

কৃষ্ণকুমার দাস: ২৪ ঘণ্টায় রোগী বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৯ থেকে নেমে ১৯ হলেও কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সব মিলিয়ে বেড়ে ৪০৪ হয়ে গেল মঙ্গলবার। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা এদিন নবান্নে জানিয়েছেন, নতুন রোগী বাড়লেও সংক্রমিত এলাকা (Containment Zone) কলকাতায় ২২৭টিই আছে। নতুন কোভিড-১৯ (COVID-19) পজিটিভ রোগীদের অধিকাংশই মহানগরের ‘সুপার হটস্পট’ বেনিয়াপুকুর, পার্কসার্কাস ও জোড়াসাঁকোর। ৪০৪ জন মোট আক্রান্ত হলেও ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন পঞ্চাশেরও বেশি।

স্বাস্থ্যভবনের তথ্য অনুযায়ী, শহরের আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই ঘিঞ্জি এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা অধ্যুষিত ২২, ২৩ ও ৬২, ৬৪, ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। শুধুমাত্র একটি ওয়ার্ডেরই চারজন নতুন রোগী বাঙুরে ভর্তি হয়েছেন। ঘনবসতির জন্যই শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের ১০৫টিতেই করোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান মিলেছে। অতি ঘনত্বযুক্ত বসতির কিছু অংশে লকডাউন প্রথমে কঠোরভাবে মানা হয়নি তাই সেখানে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে বলে এদিন স্বীকার করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানিয়েছেন, “নতুন রোগীর তালিকা হাতে পেতেই ওই পল্লিতে জীবাণুনাশক স্প্রে হয়েছে, আক্রান্তের পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।” কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নয়া নির্দেশিকায় এখন করোনা রোগী হোম-কোয়ারেন্টাইনে (Home quarentine) থাকতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের নির্দেশ ও গাইড লাইন রোগীকে কঠোরভাবে মানতেই হবে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত তাঁর উপর নজরদারি চালাবেন বলে এদিন জানিয়েছেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।

Advertisement

[আরও পডুন:করোনায় বিধ্বস্ত অর্থনীতি, ১৫ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা BRICS-এর]

যাঁরা করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁদেরও টানা ১৪ দিন নজরদারিতে রাখছেন পুরসভার স্বাস্থকর্মীরা। ডেপুটি মেয়র জানান, “রোগীর সঙ্গে পরিজনরাও বাধ্যতামূলকভাবে বাড়ির ভিতরেই থাকছেন কি না তাও দেখছে পুরসভার করোনা-স্পেশাল টিম।” মাত্র সাতদিনে কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫১ থেকে বেড়ে ৪০৪ হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা। শহরে সাতদিন আগে সংক্রমিত এলাকার সংখ্যা ছিল ১১৫, সেখানে এদিন ২২৭ হওয়ায় উদ্বিগ্ন পুরসভার মেয়র থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা। এক শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, দুপুরে এই রিপোর্ট এসেছে, সন্ধ্যায় সংখ্যা আরও বেড়েছে। আর একটি বড় সরকারি ল্যাবে আজ পরীক্ষা হয়নি, তাই সামগ্রিকভাবেও সংখ্যা কম এসেছে। অবশ্য মেয়র ফিরহাদ কিছুটা আশার আলো তুলে ধরে বলেন, “শহরের কয়েকটি জোনে গত তিনদিনে নতুন কোনও করোনা রোগী পাওয়া যায়নি।”

[আরও পডুন:করোনা আতঙ্কে সদ্যোজাত-সহ প্রসূতির পরিবারকে ঘরছাড়া করল বাড়িওয়ালা]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement