অভিরূপ দাস: মা করোনা পজিটিভ। তার জন্য বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি এক হাসপাতালকে দায়ী করে থানায় অভিযোগ জানালেন মেয়ে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ভুড়ি ভুড়ি মিললেও করোনার সংক্রমণের জন্য হাসপাতালকে কাঠগড়ায় তোলার অভিযোগ নতুন!
পূর্ব যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগে দেবপ্রিয়া সেন জানিয়েছেন, আমার মা ডালিয়া সেন কিডনির সমস্যা নিয়ে ২৪ আগস্ট হাসপাতালে ভরতি হন। ভরতি হওয়ার দিনই ওনার কোভিড টেস্ট হয়। যে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর আমরি হাসপাতালেই মায়ের ডায়ালিসিস চলছিল। ২ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে আমাদের জানানো হয় মা কোভিড পজিটিভ। মেয়ের অভিযোগ, “হাসপাতাল থেকেই মায়ের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তাদের নিখরচায় কোভিড সাড়িয়ে দিতেই হবে।”
ইতিমধ্যেই প্রায় তিন লক্ষ টাকা বিল হয়ে গিয়েছে হাসপাতালে। ক্যাশলেস জীবনবিমা করার পরেও বেসরকারি বিমা সংস্থা সেই টাকা দিচ্ছে না। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বিমা সংস্থা রোগীর পুরনো হেলথ রিপোর্ট চাইছে। কিন্তু আগে কোনও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট নেই রোগীর। যা নিয়ে মহা ফাঁপড়ে ওই পরিবার। বিমা সংস্থার টাকা যাতে দ্রুত পাওয়া যায় সে জন্যেও পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন দেবপ্রিয়া।
দেশবন্ধু পার্কের বাসিন্দা ডালিয়া সেন আগস্টের শেষ সপ্তাহে বাড়িতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়। পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তাঁর ক্রিয়েটিনিন লেভেল অনেক বেড়ে গিয়েছে। কিডনির মাত্র দশ শতাংশ কাজ করছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় রোগীর হার্টের অবস্থাও ভাল নয়। কোভিড টেস্ট নেগেটিভ দেখেই শুরু হয় চিকিৎসা। তারপর থেকে আটটা ডায়ালিসিস হয়ে গিয়েছে রোগীর। আচমকা বুধবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যে তিনি কোভিড পজিটিভ।
ডালিয়াদেবীর মেয়ের দাবি, কোমর্বিডিটিতে মৃত্যুর হার সর্বাধিক। মায়ের কিডনির সমস্যা হাসপাতালের উচিৎ ছিল সতর্ক থেকে চিকিৎসা করা। সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়াতেই মায়ের শরীরে করোনা সংক্রমণ হয়েছে। মায়ের কোনও কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায় হাসপাতালের। আগামী দিনে স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানানোর কথাও ভাবছে ডালিয়াদেবীর পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.