ছবি: প্রতীকী
গোবিন্দ রায়: ১৬ বছর আগে সম্পত্তির লোভে কাকার হাতে খুন হাতে হয়েছিল বছর আটের কিশোর ভাইপোকে। ঘটনায় কয়েক বছর যাবৎ তল্লাশির পরেও মৃতের দেহ খুঁজে পায়নি পুলিশ। সেই মামলায় স্রেফ ধৃত কাকার দোষ কবুলের ভিত্তিতে ১৬ বছর বাদে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সাজা ঘোষণা করবেন কলকাতা নগর দায়রা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক অন্নদাশংকর মুখোপাধ্যায়। আইনজীবী মহলের মতে, এই প্রথম কোনও ঘটনায় মৃতদেহ ছাড়াই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনটা ২০০৬ সালের ২৮ আগস্ট। এক বালককে অপহরণ করার মামলা রুজু হয় বউবাজার থানায়। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি চালানোর পরেও নিখোঁজ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁর দুই কাকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশি জেরার মুখে ধৃত দুই দোষ কবুল করে।
মৃত জুনেদ ওরফে আরজুদের পারিবারিক জুতোর ব্যবসা। সেই সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা নিয়েই চলছিল বিবাদ। সম্পত্তির লোভে জুতোর বস্তার মধ্যে বেঁধে গোডাউনে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু হয়। পরে ওই বস্তাটি লঞ্চে করে মাঝগঙ্গায় নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয় বলে জানতে পারে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ করে খুন, তথ্য লোপাট-সহ একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় পুলিশ।
মামলায় বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি নবকুমার ঘোষ, সন্দীপ চক্রবর্তীরা জানান, “এই মামলায় ধৃত ফৈয়জউদ্দিন ও মহম্মদ নূরেন নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলার বিচারপর্ব চলাকালীন মৃত্যু হয় ফৈয়জের। বিচারপর্বে একাধিকবার দোষ কবুল করে নূরেন। তার ভিত্তিতে এবং মামলার ২৯ জন সাক্ষ্যর বয়ানের ভিত্তিতে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দোষীদের আইনজীবী গণেশ মাইতিরা জানান, “বিচার প্রক্রিয়াতেই এতগুলো বছর জেলে কেটে গেল। আমার মক্কেলের তাই তার কম সাজার পক্ষেই সওয়াল করব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.