সুব্রত বিশ্বাস: ২০১৪ সালে পরকীয়া সম্পর্ক জেনে ফেলায় স্ত্রীকে খুন করেছিল ব্যক্তি। সঙ্গ দিয়েছিল প্রেমিকা। শিয়ালদহ স্টেশনের পার্কিং লট থেকে উদ্ধার হয়েছিল খুন হওয়া জয়ন্তী দেবের দেহাংশ। গোটা ঘটনার তদন্ত চালায় শিয়ালদহ জিআরপি। তাদের তৎপরতায় গ্রেপ্তার করা হয় তিন অভিযুক্তকে। আগেই তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এবার সেই ঘটনায় তিন দোষীকে ফাঁসির সাজা দিল শিয়ালদহ আদালত।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর জয়ন্তী খুনের মামলা চলছিল। শেষমেশ সোমবার সাজা ঘোষণা হল। শিয়ালদহ আদালতের বিচারপতি এদিন বলেন, এমন ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। আর সেই কারণেই সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হল। স্বামী সুরজিৎ দেব, তার প্রেমিকা লিপিকা পোদ্দার এবং সঞ্জয় বিশ্বাসকে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে স্বামীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন স্ত্রী জয়ন্তী। লিপিকার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল সুরজিৎ। প্রেমিকার সঙ্গে নতুন করে জীবন শুরু করতে স্ত্রীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে সুরজিৎ। তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় লিপিকাও। পরিকল্পনা মাফিক জয়ন্তীর মুণ্ডচ্ছেদ করে তাঁকে খুন করে দুজন। কাঁথায় মুড়িয়ে ও ট্রলি ব্যাগে ভরে মৃতার দেহ লোপাট করে তারা। একাজে তাদের সাহায্য করেছিল সঞ্জয় বিশ্বাস। ঘটনার কয়েকদিন পর শিয়ালদহ স্টেশনের পার্কিং লট থেকে মৃতার দেহাংশ উদ্ধার করে জিআরপি। তারপর শুরু হয় তদন্ত। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। পাঁচ বছর পর অবশেষে নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডে মিলল সুবিচার। আদালতের নির্দেশে সন্তুষ্ট জয়ন্তীর পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.