অর্ণব আইচ: চক্ররেলের ইঞ্জিনের সামনে কাউ-ক্যাচারে আটকে রয়েছেন এক যুবক। তাঁর মাথার দিকটি বাইরে। দেহটি ভিতরে। যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন তিনি। এলাকাটি দমদম জিআরপির আওতায় হলেও কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ বন্দর থানার আধিকারিকদের চোখে পড়েছিল সেই দৃশ্য। শেষ পর্যন্ত গাড়ি তোলার যন্ত্র দিয়েই কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা তুললেন ট্রেনের বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের সামনের অংশ। পুলিশের চেষ্টায় ইঞ্জিনের ভিতর থেকে উদ্ধার হলেন ওই যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। দমদম থেকে প্রিন্সেপঘাটের দিকে যাচ্ছিল চক্ররেল। অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ইয়াজু পুরতা (২৩) নামে এক যুবক চক্ররেলের লাইন পেরিয়ে যাচ্ছিলেন গঙ্গার গোয়ালিয়র ঘাটের দিকে। তখনই ট্রেনের সামনে পড়ে যান তিনি। ট্রেন হুইসিল দেয়। কিন্তু লাইন পার হওয়ার আগেই এত কাছে ট্রেন দেখে ঘাবড়ে গিয়ে লাইনের উপর পড়ে যান তিনি। ট্রেন তাঁর প্রায় ঘাড়ের উপরই এসে পড়ে। যদিও ট্রেনের চালক তৎপর হয়ে ব্রেক কষেন। ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়লেও ওই যুবকের দেহ ইঞ্জিনের সামনে কাউ-ক্যাচারের মধ্যে আটকে যায়৷ যুবকের শরীরের নিচের দিকের অংশ তখন ইঞ্জিনের ভিতর।
মাথার দিকের অংশ বাইরে। তিনি প্রাণে বাঁচার জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন। সেই খবর যায় দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশের কাছেও। থানার ওসি গোপাল দেবনাথ তাঁর টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। নিয়ে আসা হয় গাড়ি তোলার কয়েকটি যন্ত্র। সেই যন্ত্রগুলি পরপর বসিয়ে তোলা হয় ট্রেনের ইঞ্জিনের কাউ-ক্যাচারের অংশ। তাতে হাত লাগান রেলের কয়েকজন কর্মী ও এলাকার বাসিন্দারাও। ধীরে ধীরে ভিতর থেকে বের করা হয় ওই যুবককে। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি জানানো হয় দমদম জিআরপিকে। এদিন দুপুরে এই ঘটনার ফলে চক্ররেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও যুবকের প্রাণ বাঁচানো গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.