Advertisement
Advertisement

শহরে প্রথম ‘মোমো’-র হাতছানি, পুলিশের দ্বারস্থ আতঙ্কিত তরুণী

মানসিক সমস্যার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলেই আসছে মোমো লিঙ্ক।

Kolkata: Cop alert against momo challenge
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 26, 2018 9:13 am
  • Updated:August 26, 2018 10:24 am  

আকাশনীল ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর: এবার খাস কলকাতা শহরে হানা ‘মোমো’-র৷ নিজের মোবাইলে সুইসাইড গেম ‘মোমো’-র বার্তা পেয়ে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী৷ বৃহস্পতিবার রাতে মেসেজ পাওয়ার পরে ইমেল করে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায় ঘটনার কথা জানান তিনি৷

[প্রবীণ বিজেপি নেতাদের স্মৃতিতে ভাসলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু]

রাজশ্রী উপাধ্যায়, সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন৷ আট বছরের এক সন্তান রয়েছে তাঁর৷ ফলে মোবাইলে ‘মোমো’-র বার্তা পেয়ে আতঙ্কিত রাজশ্রী৷ তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ ফোন চার্জে বসানোর সময় হোয়াটস অ্যাপে একটি মেসেজ আসে৷ তাতে ক্লিক করতেই ভেসে ওঠে ‘মোমো’-র ছবি৷ ওই মেসেজে লেখা ছিল, ‘হাই, ইটস মোমো’৷ গত কয়েকদিনে যেভাবে ‘মোমো’ নামে এই নয়া অনলাইন সুইসাইড গেমের আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তা শুনেছিলেন রাজশ্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি শুনেছিলাম মানসিক অবসাদে ভোগার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেই, সকলেই ‘মোমো’-র খপ্পরে পড়ছে৷ কিন্তু আমি মানসিক অবসাদে ভুগছিনা৷ কোনওদিনই নিজের মানসিক অবস্থার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশও করি না৷’’ তা সত্ত্বেও কীভাবে ‘মোমো’-র মেসেজ তাঁর ফোনে এল, সে বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছেন না রাজশ্রী৷  ‘মোমো’ নিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী৷ তাঁর কথায়, ‘‘মোমোর ছবিটা দেখেই ভয় লেগে যায়৷ আমার বাচ্চার বয়স আট বছর৷ সে মোবাইলে ঠাকুমার ঝুলির মতো নানা জিনিস দেখে৷ ফলে সে কোনওভাবে মোমোর খপ্পরে পড়ে গেলে কী হবে, তা ভেবেই আর চিন্তা হচ্ছে৷’’ যদিও ‘মোমো’-র  হাতছানিতে সাড়া দেননি রাজশ্রী৷ সঙ্গে সঙ্গে ইমেল করে কলকাতা পুলিশের সাইবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি৷ যে নম্বর থেকে তাঁর কাছে মেসেজ এসেছিল, সেই নম্বরটিও ব্লক করে দিয়েছেন ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী৷ কেউ ‘মোমো’ মেসেজ পেলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন রাজশ্রী৷

Advertisement

[ভাইরাল কনের সাজে নগ্ন ছবি, প্রাণনাশের হুমকি শহরের আলোকচিত্রীকে]

এর আগে, কার্শিয়াংয়ে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুতে উঠে এসেছে ‘মোমো’-র হাতছানির যোগসূত্র৷ যদিও ছাত্রটির মৃত্যুর জন্য আদৌ ‘মোমো’ দায়ী কী না, সে বিষয়ে যদিও এখনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনেও ‘মোমো’-র মেসেজ পান দুই যুবক৷ পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা৷   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement