ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি ডি বিড়লার ছায়া এবার দেশপ্রিয় পার্কের কারমেল প্রাইমারিতে। ক্লাস টুয়ের এক খুদেকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভে উত্তাল হন অভিভাবকরা। শুক্রবার সকালে অভিভাবকরা সেখানে জমায়েত হলে বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুলের দরজা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[ পথ নিরাপত্তায় নয়া উদ্যোগ পুলিশের, শহরের রাস্তায় বসছে বুম গেট ]
অভিভাবকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই স্কুলে এক শিশুর উপর যৌন নিগ্রহ চালানো হচ্ছিল। দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর উপর যৌন নিগ্রহ চালায় এক শিক্ষক বলেই অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল স্কুলের নাচের শিক্ষকের দিকে। দিনের পর দিন ওই বাচ্চাটিকে আড়ালে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত। তারপর নানাভাবে তার যৌন হেনস্তা করা হত। বাড়িতে বললে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। ফলে ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল বাচ্চাটি।
[ ভিনরাজ্যের তরুণীর শ্লীলতাহানি কেষ্টপুরে, গ্রেপ্তার ৫ অভিযুক্ত ]
কিন্তু শেষমেশ কথা চাপা তাকেনি। বাচ্চাটির অভিভাবকদের থেকে গতকালই এই কথা কানে ওঠে অন্যান্য অভিভাবকদের। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। আজ সকাল থেকেই স্কুলের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অভিভাবকদের দাবি, জি ডি বিড়লার মতোই এখানেও প্রিন্সিপাল অভিযুক্ত শিক্ষককে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। তাঁদের দাবি, প্রিন্সিপাল পুরো ঘটনা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, এই স্কুলে এরকম কিছু ঘটতে পারে না। এদিন সকাল থেকেই স্কুলের গেট বন্ধ। স্কুলের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ জানান ক্রুদ্ধ অভিভাবকরা।
[ গুরুতর অসুস্থ তাপস পালের চিকিৎসার জন্য বৈঠকে মেডিক্যাল বোর্ড ]
উত্তেজিত অভিভাবকদের প্রশ্ন, পিটি বা নাচ আসলে ‘ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি’। সেখানে ছাত্রীদের সামলাতে কেন পুরুষ শিক্ষক নিয়োগ করা হল? আর অভিযোগ পাওয়ার পর কেনই বা সেই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হচ্ছে না? কেন আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে? স্কুলে সিসিটিভি নেই বলেও অভিযোগ তাঁদের। তাঁদের দাবি, প্রতি বছর এর জন্য টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু এখনও স্কুলের বহু অংশ নজরদারি ক্যামেরার আওতায় নেই। অভিভাবকদের একটাই দাবি, প্রিন্সিপাল অভিযুক্ত শিক্ষককে যেন আড়াল না করে বরখাস্ত করেন।
[ শ্বাসনালীতে ছোলা আটকে প্রাণসংশয় শিশুর, বিপণ্মুক্ত করল এসএসকেএম ]
উদ্বিগ্ন এক অভিভাবক জানাচ্ছেন, তিনি দেখা করতে চাইলে স্কুলের তরফে বলা হয়, আপনার মেয়ের সঙ্গে কি এরকম কিছু হয়েছে? তিনি জানান, প্রত্যেকর সন্তান এখানে পড়াশোনা করছে। সকলেই সন্তানের মতো। আজ একজনের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে। কাল আর একজনের সঙ্গে যে ঘটবে না তার গ্যারান্টি কে দেবে? অতীতে জি ডি বিড়লা কাণ্ড ঘটেছে। তারপরও স্কুলগুলি যে কোনও শিক্ষা নেয়নি তা স্পষ্ট বলেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় কিছুদিনের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা চাপা পড়ে যায়। তা উল্লেখ করে অপর এক অভিভাবক বলেন, আমরা এ ঘটনা চাপা পড়ে যেতে দেব না। একটা হেস্তনেস্ত চাই। আর কত মায়ের বাচ্চা এভাবে দিনের পর দিন যৌন নিগ্রহের শিকার হবে? যদিও এখনও এ ব্যাপারে স্কুলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ছবি: প্রতীকী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.